সিপিএম প্রার্থীদের মারধর করে নথিপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের লোকজনের বিরুদ্ধে। সেখানেই মনোনয়ন দিতে আসা বিজেপি প্রার্থীকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ বিডিও অফিস এলাকায়।
এই খবর চাউর হতেই গোপালনগর ১ পঞ্চায়েত থেকে আসা সিপিএম প্রার্থীরাও ভয়ে বিডিও অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু পরে সেখানে বনগাঁর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা করান।
এ দিন বনগাঁ ব্লকের বৈরামপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। সেখানে তাঁদের মারধর করে নথিপত্র কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা পঙ্কজ ঘোষ জানান, তিনজন পঞ্চায়েত সমিতি ও আটজন পঞ্চায়েতের দলীয় প্রার্থী এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন বিডিও অফিসে। সেখানেই মারধরের ঘটনা ঘটে। ভয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালান। দেবব্রত মজুমদার নামে সমিতির এক প্রার্থীকে মারধর করে জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে তাঁর অভিযোগ। বিজেপি নেতা মধু মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীকেও মারধর করা হয়েছে।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পরে কয়েকজন সিপিএম প্রার্থী গোপালনগরে পঙ্কজবাবুর বাড়িতে যান। বিডিও সঞ্জয়কুমার গুছাইত-সহ প্রশাসনের কর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিডিও সিপিএম নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা যদি ফের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসতে চান, তা হলে বিডিও তাঁদের নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।
কিন্ত প্রার্থীরা আর বিডিও অফিসে যেতে চাননি। পরে পঙ্কজবাবু পঞ্চায়েত সমিতির তিন প্রার্থীকে এসডিও অফিসে নিয়ে যান। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘সেখানে কোনও নথিপত্র ছাড়াই দু’জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একজন মহকুমাশাসকের অফিসে এসেও শেষ মুহূর্তে প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। পঞ্চায়েতের আট সদস্যকে অবশ্য আর আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিয়ে আসতে পারিনি।’’
যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বৈরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের হায়দার আলি মোল্লা বলেন, ‘‘আমি সকাল থেকে বিডিও অফিসে ছিলাম। সিপিএম প্রার্থীদের মারধর বা নথিপত্র কেড়ে নেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। সিপিএম প্রার্থী দিতে না পেরে নাটক করছে।’’
তবে গোপালনগরে বিধায়কের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে সিপিএম নেতা বিশ্বজিৎ প্রামাণিক বলেন, ‘‘বিধায়কের উপস্থিতিতে আমরা ভরসা পেয়েছি বলেই ফিরে এসে মনোনয়ন জমা করতে পারলাম।’’
বিধায়কের কথায় বলেন, ‘‘ভোট হবে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের নিরিখে। ভোটের ফল নিয়ে আমরা বিচলিত নই। বিধায়ক হিসাবে সকলের মনোনয়নপত্র জমা করানোটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy