প্রতিবাদ: স্কুলের সামনে বিক্ষোভ। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
মিড ডে মিলের খাবার চুরির প্রতিবাদে স্কুলের গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়।
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার রানিগড় জ্যোতিষপুর হাইস্কুলে। স্কুলে এলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা স্কুলের বাইরেই বসে থাকেন। প্রায় দু’ঘণ্টা বিক্ষোভের পর বাসন্তী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামালায়। এ দিন বিক্ষোভের পর বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহার কাছেও এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সৌগত। তিনি বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে পরিচালন কমিটিকে রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনের পর দিন স্কুলের পড়ুয়াদের সঠিক ভাবে মিড ডে মিল না দিয়ে সেই মিড ডে মিলের চাল ডাল চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবার গ্রামের মানুষ এই চাল, ডাল, তেল চুরির সময় মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা সুপর্ণা হালদার নামে একজন রাঁধুনিকে হাতেনাতে ধরেন। অভিভাবকদের দাবি, স্কুলের রান্নার দায়িত্বে থাকা দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে মাদার টেরিজা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই দীর্ঘদিন ধরে এই চুরি চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরও এর পিছনে মদত রয়েছে বলে এই ঘটনা দিনের পর দিন ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। আর সেই কারণেই শনিবার সকাল থেকে স্কুলের মূল গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ শুরু করে স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।
তবে এ বিষয়ে মাদার টেরিজা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদিকা মায়া হালদারকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানাতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক সুমন সর্দার, তপতী বিশ্বাসরা বলেন, “দিনের পর দিন স্কুল থেকে এই ভাবে চাল, ডাল চুরি হচ্ছে। বাচ্চাদের অল্প অল্প খাবার দিয়ে স্কুলের পিছনের দরজা দিয়ে মাদার টেরেজা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রাঁধুনিরা চাল, ডাল চুরি করছে।’’ স্কুল পড়ুয়া সোমনাথ সর্দার, রাখি মণ্ডলরা বলে, “সঠিক পরিমাণে আমাদের খেতে দেওয়া হয় না। পেটও ভরে না। চাইলেও দেওয়া হয় না।’’
যদিও এ দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মণ্ডল ও পরিচালন কমিটির সম্পাদক মুকুন্দ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন করলেও তাঁরা ধরেননি। এসএমএসের কোনও উত্তর দেননি।
তবে এ বিষয়ে স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা মৃণাল মণ্ডল বলেন, “শুক্রবার স্কুলের কিছু ছেলেরা ও কয়েকজন অভিভাবক মিলে একজনকে স্কুল থেকে চাল, ডাল, তেল নিয়ে যাওয়ার সময় ধরে ফেলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্কুলের রান্নার চাল, ডাল থেকেই এগুলি সরানো হয়েছে সেটা নিশ্চিত।’’ কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জড়িত থাকার কথা তিনি মানতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy