যত্রতত্র পড়ে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র
বকখালি জুড়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। তা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে জেলার অন্যতম বিশিষ্ট পর্যটনকেন্দ্র। বকখালিতে দীর্ঘদিন কোনও সাফাইকর্মী না থাকায় বিরক্ত পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দা।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকেরা বকখালিতে পিকনিক করতে আসেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্রমণার্থীদের ফেলে যাওয়া মদের বোতল, প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ এবং অন্য নানা আবর্জনা এখানে-ওখানে ছড়িয়ে থাকে। এমনটা হওয়ার কথা অবশ্য ছিল না। বছর পাঁচেক আগে পর্যন্ত প্রতিদিনের আবর্জনা সরানোর জন্য বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করা ছিল এই এলাকায়। তাঁরা সমস্ত আবর্জনা তুলে ভ্যাটে রাখতেন। ভ্যাট আবর্জনায় ভরে গেলে পরে সে সব পুড়িয়ে ফেলা হত। কখনও আবার মাটিতেও পুঁতে ফেলা হত। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হত। সেই টাকায় সাফাইকর্মীদের বেতন দেওয়া হত।
বছর পাঁচেক আগে ব্যবসায়ীরা চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় সাফাইকর্মীদের বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। বেতন না পেয়ে সাফাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বকখালি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সে সময়ে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সাফাইকর্মীদের বেতনের অর্থ বরাদ্দ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সাফাইকর্মীদের গ্লাভস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল সে সময়ে। কিন্তু তারা কথা রাখেনি। ফলে মাসখানেক কাজ করার পরে সাফাইকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন।
একই দাবি করেছেন বকখালি সমুদ্র সৈকত ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপক পাড়ুই। তিনি বলেন, ‘‘সাফাই অভিযান বন্ধ থাকায় সমুদ্র সৈকতে আবর্জনা জমছে। দূষিত হচ্ছে বকখালি। এ জন্য বকখালি তার আকর্ষণও হারাচ্ছে।’’
এ বিষয়ে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা মণ্ডল বলেন, ‘‘স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকদের দেওয়া টাকায় সাফাইকর্মীদের বেতন হত। দীর্ঘ দিন সেই বেতন বন্ধ। আমরা ঠিক করেছি, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে সাফাইকর্মী নিয়োগ করে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy