অভিযুক্তদের নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ। — নিজস্ব চিত্র।
বাগদা সীমান্তে গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই বিএসএফ-কর্মীকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃত বিএসএফের কমান্ডিং অফিসার এবং কনস্টেবলকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে কী ঘটেছিল তা পুনর্নির্মাণের সময় জানিয়েছেন অভিযুক্তেরা।
বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনায় বিএসএফের জিতপুর বর্ডার আউট পোস্টের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়ানের এএসআই এসপি চেরো এবং কনস্টেবল আলতাব হোসেনকে নিয়ে ওই এলাকায় যায় পুলিশ। গত ২৫ অগস্ট রাতে বাগদা সীমান্তের জিতপুরে পাঁচ বছরের শিশুকন্যার সামনে বসিরহাটের এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই দু’জনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ অগস্ট রাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে প্রয়োজন ছিল ওই ঘটনা পুনর্নির্মাণের। সে জন্যই বৃহস্পতিবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় অভিযুক্তদের জিতপুরে নিয়ে গিয়ে। ঘটনার দিন রাতে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে ঘটনাস্থলে বসেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ধৃতদের আবার আদালতে হাজির করানো হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।
গত ২৫ অগস্ট রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার জিতপুর বর্ডার আউটপোস্টের কাছাকাছি এলাকায় সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছিলেন বছর তেইশের বসিরহাটের ত্রিমোহিনী এলাকার ওই তরুণী। পুলিশ এমনটাই দাবি করেছিল। অভিযোগপত্রে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁরা রাতের অন্ধকারে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই সীমান্ত এলাকায় পাহারার দায়িত্ব বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের। ওই রাতে বিএসএফ-কর্মীদের কাছে ধরা পড়ে যান তাঁরা। এর পর সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর তাড়া খেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। সেই সময় স্বামী এবং এক সন্তানের কাছ থেকে অন্য সন্তান-সহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ওই তরুণী।
পুলিশের কাছে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ওই তরুণী আশ্রয় নেন সীমান্তবর্তী একটি কাঁকরোল ক্ষেতে। কাঁকরোলের মাচার নীচে তিনি যখন সন্তান নিয়ে লুকিয়ে, তখনই এক বিএসএফ কনস্টেবল তাঁদের দেখতে পান টর্চের আলোয়। এর পর ওই তরুণী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পৌঁছন বিএসএফের এএসআই পদমর্যাদার এক অফিসার। তিনি পোস্ট কমান্ডার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই এএসআইয়ের নির্দেশে তরুণীকে এর পর ধর্ষণ করেন এক কনস্টেবল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy