খোলা আকাশের তলায় পড়তে বসেছে ওরা। নিজস্ব চিত্র
বছর দু’য়েক আগে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উড়ে গিয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চালের অ্যাসবেস্টস। তারপর থেকে এখনও সংস্কার হয়নি। কার্যত খোলা আকাশের নীচেই চলে কেন্দ্রের কাজকর্ম। এমনই পরিস্থিতি ন্যাজাট ২ পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর পাড়ার ১০ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চালের ৮টি অ্যাসবেস্টসের মধ্যে ৬টিই উড়ে গিয়েছিল। তারপর ভাঙা বাঁশ বিপজ্জনক ভাবে রয়েছে। রোদ-বৃষ্টি কোনওটাই আটকায় না। ঘরের দেওয়ালের অবস্থাও খারাপ। প্লাস্টার খসে ইট বেরিয়ে পড়েছে। দেওয়ালে হাত দিলেই বালি খসে পড়ে। রান্না ঘরে ঢেকে-ঢুকে রান্না করতে হয়। অভিভাবকেরা জানান, শিশুদের ওই কেন্দ্রে পাঠাতে ভরসা পান না।
১৯৯০ সালে তৈরি হয়েছিল এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া একটি বসার ঘর, রান্না ঘর, জিনিসপত্র রাখার ঘর ও বারান্দা আছে। কয়েক বছর আগে একবার সংস্কারের কাজ হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। ঝড়ে অর্ধেকের বেশি ছাউনি উড়ে যাওয়ার পরেও মেরামত হয়নি। গোটা ভবনেরই কার্যত ভগ্নদশা। এলাকার মোট ৫১ জন বাচ্চা কেন্দ্রে আসে।
অভিভাবক পঞ্চমী সর্দার বলেন, “বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় করে। তাই একা ছাড়ি না। খাবার নেওয়ার সময়ে আসি বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে। অল্প সময় বারান্দায় বসিয়ে একটু পড়ান দিদিমণি। তারপর বাচ্চাকেনিয়ে চলে যাই।” অভিভাবকেরা অনেকে জানালেন, বেহাল ভবনের পাশাপাশি, শৌচাগারও ব্যবহারযোগ্য নয়। বিদ্যুৎসংযোগ নেই। গরমে কষ্ট বাড়ে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী প্রভাতী মাইতি বলেন, “আমি এখানে এসেছি ২০২১ সালে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা বলেছি। তবে কোনও কাজ তো হল না।” সন্দেশখালি ১ বিডিও সুপ্রতিম আচার্য বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy