টাকিতে তখনও চলছে বিক্ষোভ। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়েও প্রয়োজন মতো টাকা মিলছে না। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার অশোকনগরের গুমা চৌমাথা এলাকার যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় অবরোধ। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁদের আশ্বাস দেয় এখন থেকে একদিন অন্তর একদিন একজন ব্যক্তিকে তাঁর সেভিংস অ্যকাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে যতক্ষণ টাকার জোগান থাকবে ততক্ষণই তা সম্ভব। ওই প্রতিশ্রুতির পর অবরোধ ওঠে। ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। তারপর ব্যাঙ্কের কাজকর্ম শুরু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গুমা শাখার ঘটনা। গ্রাহকদের অভিযোগ, সপ্তাহে ২৪ হাজার টাকা করে তোলা যাবে। কিন্তু সরকারি ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রাহকেরা জানান, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার থেকে। ওই দিন কিছু গ্রাহকেরা ৪০০০ টাকা করে তুলতে পেরেছিলেন। এরপরেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, আর টাকা দেওয়া হবে না। তখন ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়ানো গ্রাহকেরা ভিতরে ঢুকে প্রতিবাদ জানান। শেষে তিন হাজার টাকা করে তাঁদের দেওয়া হয়। শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। কিন্তু সোমবার ব্যাঙ্কে টাকা না থাকায় গ্রাহকেরা টাকা পাননি।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানায়, ২২০০ করে টাকা দেওয়া হবে। এ দিন ভোর ৫টা থেকে গ্রাহকেরা ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দেন। এ কথা জানতে পেরে তাঁদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। অন্যরা এলে সবাই মিলে বিক্ষোভ শুরু করে। বেঞ্চি পেতে গ্রাহক ও সাধারণ মানুষ সড়কে বসে পড়েন। তীব্র যানজট হয়।
অন্য দিকে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার শাখায় সোমবার দুপুর থেকে লিঙ্ক না থাকায় গ্রাহকেরা টাকা লেনদেন করতে পারেননি। সোমবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের হাতে একটি করে টোকেন ধরিয়ে দেন। বলা হয়, মঙ্গলবার লিঙ্ক এলে তাঁদের লেনদেনের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে টাকা তুলবেন বলে ব্যাঙ্কের সামনে সব জড়ো হয়। কিন্তু এ দিন সকাল থেকেই ব্যাঙ্কে লিঙ্ক ছিল না। ফলে লেনদেনও বন্ধ ছিল। গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তাঁরা সকাল ১০টা থেকে টাকি রোড অবরোধ করেন। পড়ুয়াদের পরীক্ষা থাকায় সাময়িক ভাবে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু লিঙ্ক না আসায় ফের ১১টা থেকে পথ অবরোধ শুরু হয়। প্রশাসনের কর্তারা গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ক্ষিপ্ত জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ২টা নাগাদ ব্যাঙ্কের লিঙ্ক আসে। কিন্তু দেখা যায় বিদ্যুতের লাইনের ফিউজ খোলা আছে। অবরোধকারী তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে ফিউজ লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। দুপুর ৩টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তখন অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy