প্রতীকী ছবি।
একরত্তি শিশুকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত আবুল হাসান। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির গাজিপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, ধৃতেকে শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হবে। পুলিশ ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে নিজের বাড়িতে না থেকে গাজিপুরে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে দিয়েছিলেন আবুল। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় খুনের কথা আবুল স্বীকার করেছেন বলেও দাবি পুলিশ সূত্রের। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বছর চারেকের এক শিশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কুলতুলি ব্লকের কুন্দখালি গ্রামে। শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা শিশুটির মা মাফুজা পিয়াদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, মাফুজা ও আবুলের পরকীয়া সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই শিশু। তাই তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। শিশুর বাবা তোয়েব পিয়াদার অভিযোগের ভিত্তিতেই মাফুজাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে যে, তোয়েব আলি পিয়াদারের সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় মাফুজার। তাঁদেরই ৪ বছরের সন্তান মহারুপ। অভাবের সংসারে কাজের জন্য কলকাতায় থাকেন তোয়েব। শিশুসন্তানকে নিয়ে গ্রামেই থাকতেন মাফুজা। ক্রমেই প্রতিবেশী যুবক আবুল হাসানের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় তাঁর। সেই বন্ধুত্ব গড়িয়ে যায় প্রেমে। তোয়েব না থাকলে মাঝেমধ্যেই মাফুজার বাড়িতে আসতেন আবুল। তাঁদের সম্পর্কের কথা গ্রামে জানাজানিও হয়ে যায়। ওই অবস্থায় গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে একত্রে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেন আবুল এবং মাফুজা। অভিযোগ, তার পরেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের সন্তানকে খুন করেন মাফুজা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy