ফকির মণ্ডল
স্ত্রী, ছেলে-বৌমারা গিয়েছিলেন দিঘায় বেড়াতে। ফিরে এসে দেখেন, বাড়ির কর্তার পাত্তা নেই। ক’দিন খোঁজাখুঁজি করেন সকলে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবতে শুরু করেন।
ইতিমধ্যে, শনিবার সকালে শোনা যায়, পাশের পাড়ায় এক ব্যক্তির কলতলার পাশে জমিতে গর্তের মধ্যে কারও একজনের দেহ পড়ে আছে। শুধু বেরিয়ে আছে পা দু’খানা। গ্রামের আর বাকি পাঁচজনের মতো ভিড় করে ফকির মণ্ডলের (৫৪) বাড়ির লোকজনও। পুলিশ আসে। প্লাস্টিক, চটের আস্তরণ সরাতেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন ফকিরের স্ত্রী-ছেলে। জানা যায়, ওই দেহ ফকিরের।
বাদুড়িয়ার চাতরা ঘোষপুর মণ্ডলপাড়ার এই ঘটনায় যে বাড়ির কলতলা চত্বরে দেহ মিলেছে, সেই বাড়ির মালিক আবদুল্লা গাজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আবদুল্লার সঙ্গে ভালই আলাপ-পরিচয় ছিল ফকিরের।
ফকিরের বাড়ি চাতরা ঘোষপুরের উত্তরপাড়ায়। সেখান থেকে আবদুল্লার বাড়ি কাছেই। তাঁর স্ত্রী আজিদা, ছেলে মুন্না জানান, সোমবার সকলে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন ফকির। বৃহস্পতিবার সকলে ফেরেন। কিন্তু সেই থেকে দেখা মিলছিল না ফকিরের। এ দিন সকালে আবদুল্লার বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পাড়া-পড়শিরা খবর দেন পুলিশকে।
মুন্না বলেন, ‘‘মদ খাওয়া এবং লটারির টিকিট কেনা ছাড়া বাবা আর কিছু করতেন না। মা এবং আমি আনাজের ব্যবসা করে সংসার চালাই। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝতে পারছি না।’’
পুলিশের দাবি প্রাথমিক জেরায় আবদুল্লা জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ফকিরের। ধাক্কা দিলে গর্তের মধ্যে পড়ে যান ফকির। মারাও যান। এই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
ফকিরের পড়শিদের কারও কারও অনুমান, টাকা হাতে এলেই ফকির গোছা গোছা লটারির টিকিট কাটতেন। হয় তো ফকিরের কাটা টিকিটে পুরস্কার এসেছিল। তা জানতে পারে আবদুল্লা। টিকিট হাতাতেই এই খুন কিনা, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy