পাথরপ্রতিমায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। — নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটলেও থামছে না অশান্তির ঘটনা। এ বার পাথরপ্রতিমায় দুষ্কৃতীর হামলায় গুরুতর জখম হলেন সেখানকার ব্লক সভাপতি। আহত তৃণমূল নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। এই হামলার ঘটনায় আইএসএফকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমবায় সমিতিতে ভোট পরবর্তী দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন পাথরপ্রতিমা ব্লকের তৃণমূলের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুরের অঞ্চল সভাপতি মহিম মোল্লা। বৈঠকের মাঝেই প্রস্রাব করতে নীচে নামেন তিনি। অভিযোগ, সে সময়ই এক জন মহিমের উপর চড়াও হন। ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। তাঁর চিৎকার শুনে উপর থেকে নেমে আসেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
সমবায় সমিতির বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা জানান, মহিম মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। চিৎকার-চেঁচামেচিতে হামলাকারী পালিয়ে যান। তাঁকে ধাওয়া করেন স্থানীয়েরা। পাশের গ্রাম থেকে ওই যুবককে ধরে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আহত অবস্থায় মহিমকে উদ্ধার করে গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। খবর পেয়ে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে আসেন মথুরাপুরের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে এলাকার অনেক আইএসএফ কর্মী আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। সেই আক্রোশে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়।’’
বাপি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘আইএসএফ ভেবেছিল এই পাথরপ্রতিমা থেকে ভোটে লিড পাবে। কিন্তু তা হয়নি। মানুষ তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন। মহিম এই এলাকায় ভাল কাজ করেছে। তৃণমূলকে লিড দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই রাগ থেকেই মহিমকে আক্রমণ করা হয়। তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান মহিম।’’ পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান মথুরাপুরের সাংসদ। সেই সঙ্গে দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার আহ্বানও করেন তিনি।
মহিমের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মইরুদ্দিন হালদারের বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি উত্তরাবাদ এলাকায়। কেন তিনি হামলা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তৃণমূল এই হামলার দায় আইএসএফের উপর চাপালেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আইএসএফের সহ-সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লা জানান, এই হামলার ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূলের বৈঠকে শাসকদলের কর্মী ও নেতারা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য আইএসএফের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy