লরি উল্টে এক বৃদ্ধার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হল হাসনাবাদের আমতলা গ্রামের কারিগর পাড়ায়। লরি তোলার জন্য ক্রেন আনতে দেরি হচ্ছে, এই অভিযোগে জনতা ইট-পাটকেল ছোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে। হাসনাবাদ থানার এক সাব ইন্সপেক্টর-সহ জখম হন ৫ জন পুলিশকর্মী। দু’জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময়ে উত্তে জিত জনতা এক পুলিশকর্মীকে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনও রকমে জনতাকে শান্ত করেন। এসডিপিও জানান, পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সাহেব মোল্লা নামে এক জনকে। এলাকায় টহল দিচ্ছে র্যাফ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর , শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ বালি-বোঝাই একটি লরি আমতলা গ্রামের কাঁচা পথ দিয়ে কারিগর পাড়ার দিকে যাচ্ছিল। সে সময়ে ওই পথ দিয়ে ছ’বছরের নাতনি ইরিনা খাতুনকে নিয়ে রেশন তুলতে যাচ্ছিলেন ফতেমা বিবি (৫২)। লরিটি পিছন দিক থেকে আসার সময়ে বৃদ্ধা নাতনিকে নিয়ে রাস্তার এক পাশে সরে দাঁড়ান। কিন্তু লরিটি যাওয়ার সময়ে রাস্তার পাশের মাটি ধসে গিয়ে সেটি ফতেমাদের উপরে উল্টে পড়ে। ঘটনার পরে চালক পালায়। পথচারীদের চেষ্টায় শিশু অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
এ দিকে, দুর্ঘটনা খবর পেয়ে হাসনাবাদ থানার সাব ইন্সপেক্টর সুলতান মামুদ মল্লিক ঘটনাস্থলে আসেন। দ্রুত ক্রেন এনে লরিটি তোলার দাবিতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে জনতা। ইটের ঘায়ে জখম হন সুলতান। চোট পান আরও কয়েক জন। জনতার বক্তব্য, ক্রেন আনার পরিবর্তে দমকল, ড্রেজার আনা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যাতেও এক দুষ্কৃতীকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হন বসিরহাট থানার পুলিশকর্মীরা। বসিরহাটের ৩ নম্বর কলোনি এলাকায় কমালি দত্তের হার ছিনতাই করে আনারুল গাজি নামে এক দুষ্কৃতী। মহিলার চিৎকারে ছুটে এসে লোকজন ধরে ফেলে ওই দুষ্কৃতীকে। শুরু হয় গণধোলাই। পুলিশ আনারুলকে উদ্ধার করতে গেলে শুরু হয় গোলমাল। কয়েক জন পুলিশকর্মীকে কিল-চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। কোনও রকমে তাকে নিয়ে বেরিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, এ ভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা শক্ত হয়ে উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy