বিজেপির অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুঠপাট এবং ভাঙচুরের পরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে সন্দেশখালির জেলিয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন সর্দারের বাড়িতে ওই হামলার সময়ে বাধা দিতে গেলে তাঁর স্ত্রী সুমিতা সর্দারকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। তাঁকে খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে সন্দেশখালির ধুচনেখালি বাজার থেকে বেশ খানিকটা দূরে কোড়াকাটি পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয় দুই তৃণমূল সমর্থক বিশাল মণ্ডল ওরফে বিশ্বজিত্ ওরফে বিশা এবং সমীরণ জোয়ারদার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁরা বর্তমানে কলকাতার আরজিকর ও নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তৃণমূল অভিযোগ করে, সিপিএম-বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আক্রমণ করেছে তাদের কর্মীদের উপরে। এ দিন তার জেরেই মনোরঞ্জনবাবুর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিস আলি কলকাতার হাসপাতালে যান অসুস্থদের দেখতে।
অভিযোগ, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ একশোরও বেশি গ্রামবাসী মনোরঞ্জনবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অবশ্য তার আগেই ছেলেদের নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন মনোরঞ্জনবাবু।
হামলার সময়ে বাড়িতে ছিলেন সুমিতাদেবী ও অন্য মহিলারা। অভিযোগ, হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের পরে পুকুরের মাছও লুঠ করে। বাগানের গাছও কেটে ফেলা হয়। বাড়ির রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে আহত হন সুমিতাদেবী-সহ বেশ কয়েক জন মহিলা। বাড়ির শিশুদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির দাবি, খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ চৌকি থেকে দুই কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাঁদের সামনেই ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
সন্দেশখালির বিজেপি নেতা অনুকুল কয়াল বলেন, ‘‘আগে থেকে হামলার ঘটনার আশঙ্কা করে বারবার থানায় যোগাযোগ করা হলেও কার্যত পুলিশ উদাসীন ছিল।” যদিও ইদ্রিসের মতে এটি পারিবারিক গোলমাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy