প্রবাদ আছে— প্রেম এবং যুদ্ধে কোনও কিছুই অন্যায় নয়। ‘দেশদ্রোহী’দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং ‘দেশপ্রেম’-এর প্রচারে শনিবার এই প্রবাদই মানল বিজেপি! জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল করল তারা! প্রায় এক ঘণ্টা রাজভবনের সামনে জমায়েত করে স্লোগানও দিল! আর এই কাণ্ড আগাগোড়া নিষ্ক্রিয় ভাবে দেখল পুলিশ!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেশবিরোধী’ স্লোগানের প্রতিবাদে এ দিন বিবাদী বাগের টেলিফোন ভবনের সামনে থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ ওই কর্মসূচিতে ছিলেন। মিছিলের শেষে তাঁরা রাজভবনে ঢুকে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন। বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন কর্মীরা।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দিলীপবাবু বলেন, ‘‘দেশদ্রোহীদের মোকাবিলায় মানুষ পথে নামলে ১৪৪, ২৪৪— এ সব কোনও বিষয় হয় না।’’ দিলীপবাবুর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘দেশবিরোধী এবং দেশপ্রেমিক— দু’পক্ষই রাস্তায় নেমেছে। আমরা দেখতে চাই, পুলিশ এদের মধ্যে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’’
এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকারকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, বড় গোলমাল এড়াতে এ দিন ঘটনাস্থলে বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে অনুমতি ছাড়া জমায়েত করা এবং ব্যারিকেড ভাঙার জন্য বাম নেতাদের নামে মামলার চিঠি এসেছে।
অন্য দিকে, রাহুল গাঁধীকে ‘দেশদ্রোহী’ বলার প্রতিবাদে এ দিন ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করে সেখানে মানববন্ধন করে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy