আসিফের এই নির্মীয়মাণ বহুতল ঘিরেই অভিযোগ।—নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানের সংস্থার একটি নির্মীয়মাণ আবাসন জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এবং অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
আসিফের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ নম্বর কিম্বার স্ট্রিটের ঠিকানায় আসিফ এবং তাঁর ভাইয়ের সংস্থা একটি বহুতল তৈরি করছে। পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে তৃণমূলের স্থানীয় কয়েক জন কর্মীর নেতৃত্বে জনা চল্লিশ দুষ্কৃতী ওই বাড়িতে ঢুকে শ্রমিকদের মারধর করে বার করে দিয়ে বাড়িটির দখল নেয়। হামলার খবর পেয়ে আসিফের পরিবারের লোকেরাও ঘটনাস্থলে যান। তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আসিফের আইনজীবী লোকেশ শর্মা বুধবার বলেন, “ডিসি এবং পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” ডিসি (ইএসডি) অফিস সূত্রে অবশ্য বলা হয়েছে, ওই অভিযোগ তাঁদের হাতে আসেনি। পুলিশের কোনও কর্তা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি।
তৃণমূলকর্মীরা এ ভাবে আসিফের সংস্থার সম্পত্তি দখল নিল কেন?
এলাকার তৃণমূলকর্মীদের বক্তব্য, আসিফের ওই বহুতলে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ওখানকার বেশ কয়েক জন বাসিন্দা অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন। আসিফ গ্রেফতার হওয়ার পরে ওই বাড়িটির নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই ক্রেতারা দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দল বেঁধে তৃণমূলের স্থানীয় অফিসে গিয়ে সব জানান। তার পরেই তৃণমূলকর্মীরা ওই সব ক্রেতাকে বহুতলে ঢুকিয়ে দিয়ে আসে। আইনের সাহায্য না-নিয়ে এ ভাবে বাড়ি দখল করা হল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে এলাকার তৃণমূলকর্মীরা জানান, ওঁরা প্রতারিত হয়েছেন বলেই দলের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়েছে। তবে ৬৪ নম্বর ব্লক তৃণমূল নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, “এই ঘটনায় আমাদের দলের কোনও কর্মী জড়িত কি না, তা আমি জানি না। খোঁজখবর নেব।”
বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই বহুতলের সদর দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করার পরেও কেউ দরজা খোলেননি। ভিতর থেকেই চিত্কার করে জানানো হয়, তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না। ফ্ল্যাটের জন্য অগ্রিম দেওয়ার কাগজপত্র তাঁদের কাছে আছে বলে ওই ক্রেতারা দাবি করছেন। কিন্তু সেগুলো দেখাতে রাজি হননি তাঁরা।
আসিফের কৌঁসুলির অভিযোগ, শাসক দলের চাপে পুলিশ তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যেই দু’টি মামলায় আসিফ জামিন পেয়েছেন। আর একটি মামলা এখন বিচারাধীন। তাঁর অভিযোগ, “আসিফের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy