বিয়ের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা খুবই জরুরী।
বিয়ে মানে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার পর এক বিশাল আয়োজন। বিয়ের তোড়জোড় কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। বর-কনের কেনাকাটা থেকে শুরু করে অতিথিদেরকে কী খাওয়ানো হবে, সে সব কিছুই ভাবতে হয় এবং সেই সঙ্গে জোগাড়ও করতে হয়। আর এই প্রতিটি বিষয় যাতে ঠিকঠাকভাবে সুসম্পন্ন হয় সে দিকে নজর রাখাটাও কিন্তু বেশ ঝক্কির ব্যাপার। আর এই সব কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল বিয়ের জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করা।
আগেকার দিনে সবার বাড়িতেই বেশ অনেকখানি জায়গা থাকত। ফলে সেখানেই প্যান্ডেল থেকে শুরু করে বিয়ে, সঙ্গে অতিথিদের বসার জায়গা, খাওয়ার জায়গা সবই হয়ে যেত। কিন্তু দিনে দিনে যৌথ পরিবার থেকে ছোট পরিবার হতে হতে চলতি সময়ে বাড়ির মাপও ছোট হয়ে গেছে। কাজেই এখন চারদিকে বিয়ের জন্য স্থান নির্বাচনের প্রভাবও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই সঠিক স্থান নির্বাচন করাটাও খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই কী কী বিষয় মনে রেখে বিয়ের জন্য সঠিক জায়গা বাছবেন জেনে নিন।
১) সঠিক ভাবে অতিথি সংখ্যা নির্ধারণ করুন-
বিয়ের জন্য কোনও স্থান আপনার বা আপনার বাড়ির সদস্যদের খুব পছন্দ হলেও, ভাল ভাবে দেখে নেবেন যাতে নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। এমন যেন না হয় যে, নিমন্ত্রিত অতিথিদের একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিয়েতে অতিথি সংখ্যা বেশি হলে বড় বিয়েবাড়ি ভাড়া করাই ভাল।
২) অতিরিক্ত ঘর আছে কি না অবশ্যই দেখে নেবেন-
যে বিয়ে বাড়িটি ভাড়া করছেন, সেখানে বর-কনে এবং অতিথিদের বসার ঘর বাদে আরও কতগুলি অতিরিক্ত ঘর আছে সেটাও দেখে নেবেন। যদি কেউ বিশ্রাম নিতে চান, অথবা কোনও অতিথির সঙ্গে যদি ছোট বাচ্চা থাকে তা হলে সে যাতে ঘুমোতে পারে সে জন্য খেয়াল রাখবেন যে অন্তত দু’টি ঘর যেন অতিরিক্ত থাকে।
৩) খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন কী ভাবে হবে সে বিষয়ে আলোচনা করে নিন-
বিয়ে বাড়ি কর্তৃপক্ষই কি কেটারিং সংস্থার ব্যবস্থা করবে না কি আপনাদেরকে সেই আয়োজন করে নিতে হবে সে ব্যাপারে আগে থেকেই পরিষ্কার ভাবে কথা বলে নেবেন। অনেক বিয়ে বাড়ি আছে যাঁরা কেটারিং সংস্থাকে ছাড়া বিয়ের জন্য বাড়ি ভাড়া দেন না। আবার বিয়ে বাড়ি কর্তৃপক্ষই যদি কেটারিং-এর ব্যবস্থা করেন তা হলে সকালের জল খাবার থেকেই সেটা শুরু হবে না কি সন্ধ্যের সময় থেকে শুরু হবে সেটাও ভাল ভাবে জেনে নেবেন।
৪) শৌচাগারের ব্যবস্থা কেমন ঠিক ভাবে দেখে নিন-
বিয়েবাড়িতে ক’টা শৌচাগার আছে, বাড়ি পছন্দ করার সময় সেটা আগে দেখে নিন। এমনটা কখনই কাম্য নয় যে, অতিথিদের শৌচাগার ব্যবহারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হল।
৫) বিয়ে বাড়ি ভাড়ার সময় অগ্রিম টাকা-পয়সার বিষয়ে কথা বলে নেবেন-
যখন আপনি বিয়ে বাড়ি ভাড়া করতে যাবেন, তখন কিছু অগ্রিম দিয়ে আসতে হবে কি না, দিলেও কতটা, ইত্যাদি প্রশ্নগুলি খোলামেলাভাবে আলোচনা করবেন। মনে রাখবেন, কলকাতা সহ ভারতের যে-কোনও প্রান্তে বিয়ে বাড়ি ভাড়ার অগ্রিম টাকা কোনও পরিস্থিতিতেই ফেরতযোগ্য নয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy