অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী উভয়কেই নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা করতে হয়
বিয়ে মানেই দীর্ঘদিনের এক বিস্তর পরিকল্পনা। তবে আগেকার দিনের তুলনায় চলতি সময়ে বিয়ের ধারণা অনেকটাই বদেলছে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রেম করে বিয়ে করার প্রবণতা বেশি হলেও সম্বন্ধ করে বিয়ে করেন অনেকেই।
যদিও সম্বন্ধ বিয়ে করার ক্ষেত্রে অনেক আধুনিকতা এসেছে। এখন অনলাইনে পাত্র পাত্রীরা আগে থেকেই রেজিস্টার করে রাখেন। সেখান থেকেও একে অপরকে পছন্দ করেন। তবে এই সবকিছুর মধ্যে যেটা বদলায়নি তা হল মানসিকতা। দেখাশোনা করে বিয়ে মানেই সেখানে কোষ্ঠী বিচার থেকে রাশি মেলানো সবটাই থাকে।
সম্বন্ধ করে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম দেখা কিন্তু হয় ছবিতেই। প্রথম দেখায় অবশ্য একে অপরের মধ্যে গাঢ় সম্পর্কও তৈরি হয় না। তাই দেখাশোনা করে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী উভয়কেই নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা উচিত। কে কোথায় থাকতে চান, কার ভাবনা কী রকম সে বিষয়েও আলোচনা করা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে প্রথম দেখা হলে কি কি প্রশ্ন করবেন, তা আগেভাগেই ঠিক করে রাখুন।
পরিবারের চাপে পড়ে বিয়ে নয় তো?
অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে বিয়ে দিতে উদ্যত হন বাড়ির লোক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা দেখাশোনার পন্থাই বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু এ রকম বিয়ে অনেক সময় পরিণতি পায় না। কারণ পাত্র বা পাত্রী একে অপরের কাছে অচেনা হওয়ায় দু’জনেই কিছু কথা গোপন করে যান। আর তাই নিজের অতীত, কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, শুধু মাত্র পরিবারের চাপেই বিয়ে কিনা এসব ভাল ভাবে বোঝাপড়া করে নিন। তার পরে বাকি পদ্ধতিতে এগোবেন।
দশ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
সকলেই কষ্ট করে পড়াশোনা শেষ করেন। তার পরেই শুরু হয় কর্মক্ষেত্রের চড়াই উৎরাই। আধুনিক নারীরা নিজেদের যাবতীয় পড়াশোনা শেষ করে তবেই বিয়ে করতে চান। সবার জীবনেই নির্দিষ্ট ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একটা লক্ষ্য থাকে। আর তাই যে ব্যক্তির সঙ্গে আপনার বিয়ের কথা চলছে তাঁকে প্রথমেই বলুন আগামী দশ বছরে নিজেকে আপনি কোন জায়গায় দেখতে চান। চাকরি বা পড়াশুনো সংক্রান্ত যে কোনও কথা তাঁর কাছে খুলে বলুন।
সঙ্গীর কাছে আপনার প্রত্যাশা
মানসিকতার দিক দিয়ে আপনারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন সে ব্যাপারে অবশ্যই কথা বলে নিন। আপনি আপনার সঙ্গীর থেকে কি কি চান, কোথায় থাকতে চান সে বিষয়েও মন খুলে কথা বলুন। কিছুই গোপন করবেন না। এতে প্রথম থেকেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
শ্বশুর বাড়িতেই থাকবেন নাকি আলাদা থাকবেন সে বিষয়েও কথা বলে নিন
অনেকেই চান বিয়ের পরে আলাদা থাকতে, কিন্তু আবার অনেকই চান যৌথ পরিবারে থাকার মজা উপভোগ করতে। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়েও ভাল করে কথা বলে নিন। না হলে বিয়ের পর সমস্যা বাড়বে।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy