গাড়িচালককে জুতোপেটা করছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে। মেরেই চলেছেন একনাগাড়ে। সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে তেমনটাই। আর সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যার শাস্তির দাবি তুলে সরব হয়েছেন অনেকে। যদিও তাঁর দাবি, মত্ত অবস্থায় প্রায়ই তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন ওই গাড়িচালক। আর তারই প্রতিক্রিয়াস্বরূপ তিনি ওই গাড়িচালককে জুতোপেটা করেছেন।
ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, রাস্তার উপর হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছেন এক যুবক। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা। চিৎকার করছেন তিনি। আশপাশে আরও কয়েক জন দাঁড়িয়ে। এর পর চিৎকার করতে করতে হঠাৎই হাঁটু মুড়ে বসে থাকা যুবককে জুতোপেটা করতে শুরু করেন ওই মহিলা। ‘আফ্রিদা হুসেন’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়োটি। সেই পোস্ট অনুযায়ী, ভিডিয়োয় যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্তের কন্যা কশ্যপ। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ভিডিয়োটি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে, দিসপুর অঞ্চলের উচ্চ নিরাপত্তা যুক্ত এমএলএ হস্টেলে। যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন এমএলএ হস্টেলের কয়েক জন কর্মীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর নানাবিধ প্রশ্ন ওঠার পর কাশ্যপ দাবি করেছেন যে, ওই যুবক দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের পরিবারের গাড়িচালক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু তিনি মত্ত অবস্থায় প্রায়ই তাঁকে কুমন্তব্য করতেন। আর সে কারণেই তিনি এমনটা করেছেন। কশ্যপের কথায়, ‘‘সব সময় মত্ত অবস্থায় আমার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করত। সবাই এ বিষয়ে জানে। আমরা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওই দিন আমার বাড়িতে এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করার পর আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে।’’ কিন্তু কেন তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করে আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন? সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েই গিয়েছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা।
উল্লেখ্য, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘অসম গণ পরিষদ’-এর প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল বর্তমানে বিধায়ক নন। তবে তাঁকে তার পরিবারের সঙ্গে এমএলএ হস্টেলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রফুল্ল দু’বার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।