প্রতি দিনই কোনও না কোনও ঘটনার জেরে সংবাদ শিরোনামে এসেছে দিল্লি মেট্রো। মেট্রো কামরা এখন আর কেবল যাতায়াতের মাধ্যম নয়, কখনও জমিয়ে নাচগান, কখনও তর্ক, ধাক্কাধাক্কি এবং কখনও কখনও মারামারির ঘটনা ঘটে গিয়েছে দিল্লি মেট্রোয়। সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই সমস্ত ভিডিয়ো। আসন নিয়ে লড়াইয়ে আবার সরগরম মেট্রোর কামরা। বসার জায়গা নিয়ে দুই যাত্রীর মধ্যে চলল বাগ্বিতণ্ডা। দুই মহিলার কলহে হুলস্থুল পড়ে গেল মেট্রোর কামরার অন্দরে। সহযাত্রীরা বহু চেষ্টা করেও থামাতে পারলেন না সেই বাগ্যুদ্ধ। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি মেট্রোয়। অন্যান্য ঘটনার মতো এই ঘটনাটিও প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমের। ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে নীল ওড়না এবং হলুদ রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা এক প্রৌঢ়া আসনে বসে রয়েছেন। তাঁর সামনে এক তরুণী দাঁড়িয়ে আছেন। কালো রঙের জালের টপ পরা তরুণী ও প্রৌঢ়ার মধ্যে হঠাৎ করে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। দেখা যায়, চিৎকার করে সহযাত্রীর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়েছেন ওই তরুণী। রাগের বশে অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে কটূক্তিও করতে শুরু করেন। প্রৌঢ়া রেগে গিয়ে তরুণীকে বলতে শুরু করেন, ‘‘তোর বাবার জায়গা নাকি!’’ এই কথা শুনে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন তরুণী। তিনি সমান উদ্যমে তর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। হইচই পড়ে যায় গোটা কামরায়। তরুণীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এক তরুণ। অনেক ক্ষণ ধরে দু’জনের মধ্যে তীব্র তর্কবিতর্ক চলছিল। দুই যাত্রীর বাদানুবাদের এই ভিডিয়োটি মেট্রো ডট ওয়ালে নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। পোস্ট হওয়ার পর পরই মেট্রোর কামরায় বাগ্যুদ্ধের ভিডিয়োটি ১০ লক্ষ বার দেখা হয়েছে এবং ১৪ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে।
এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী তরুণীর আচরণের সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘আজকের প্রজন্ম বড়দের সম্মান করে না।’’ আর এক জন মজা করে লিখেছেন, ‘‘এই ধরনের মশলাদার ঘটনা কেবল দিল্লি মেট্রোতেই পাওয়া যায়।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘মেট্রো এখন লোকাল ট্রেনে পরিণত হয়েছে।’’