চাকরির খোঁজে রিয়েল এস্টেট সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অনলাইনে ইন্টারভিউয়ের পর সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ডিজিটাল মার্কেটিং একজ়িকিউটিভ পদপ্রার্থী তরুণ। নিজের অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমেও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, মাসিক ৩৫ হাজার টাকা বেতনের বিনিময়ে ‘আইনস্টাইন’-এর মতো কাউকে খুঁজছিল ওই সংস্থা।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যম রে়ডিটে ওই ব্যবহারকারী লিখেছেন, ইন্টারভিউয়ের প্রথমেই বেতন নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি বর্তমান যে বেতন পান তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেন ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থা। ওই প্রস্তাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরে বেতন বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তিনি রাজি হন। এর পর শুরু হয় আসল ইন্টারভিউ।
আরও পড়ুন:
ওই তরুণ জানিয়েছেন, প্রথমে সব কিছু ভালই চলছিল। হঠাৎই তাঁকে প্রচণ্ড জটিল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। সেই প্রশ্নের সঙ্গে নাকি তাঁর কাজের কোনও সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু তার পরেও অনেক অঙ্ক কষে মোটামুটি একটি উত্তর দেন তিনি। কিন্তু সেই উত্তর সঠিক ছিল না। এর পর ইন্টারভিউ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পরে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কম বেতনের চাকরির ইন্টারভিউয়ে এমন জটিল প্রশ্ন করার জন্য হতাশাও প্রকাশ করেন। তরুণের দাবি, কম বেতনের চাকরির ইন্টারভিউয়ে ওই ধরনের জটিল প্রশ্নের জন্য মানসিক ভাবে কেউই প্রস্তুত থাকবেন না।
রেডিট ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘প্রশ্নটির উত্তর দেওয়া অসম্ভব নয়। তবে আমি এই প্রশ্ন মোটেও আশা করিনি। কারণ, যে পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ চলছিল, তার বেতন কম। আমি হতাশ হয়েছি। কারণ, আমি জানি যে আমি যদি এমন প্রশ্নের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতাম, তা হলে আমি উত্তর দিতে পারতাম।’’
আরও পড়ুন:
ওই রেডিট ব্যবহারকারীর পোস্টটিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে। পোস্ট দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, আসলে কাউকে নিয়োগ করার ইচ্ছা না থাকলে ওই ধরনের বাঁকা প্রশ্ন করেন পরীক্ষকেরা। কেউ কেউ আবার নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও ভাগ করে নিয়েছেন। অনেকে আবার গোটা বিষয়টিকে তরুণের অজুহাত হিসাবে দেখেছেন।