মনে করা হয়েছিল ২০২৩ সালে খুন হয়েছিলেন তিনি। ট্যাটু দেখে চিহ্নিত করা হয়েছিল দেহ। অপরাধে জেলও হয় চার জনের। কিন্তু দু’বছর পর বাড়ি ফিরে এলেন ‘মৃতা’ সেই মহিলা! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১১ মার্চ নিরাপদে মন্দসৌর বাড়িতে ফিরে এসেছেন ললিতা বাই নামে ৩৫ বছর বয়সি এই মহিলা। যদিও তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চার জন এখনও কারাগারে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে। বিস্মিত নেটপাড়াও।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরের গান্ধীসাগর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ললিতা। এর পর ঝাবুয়ার থান্ডলা শহরে তাঁকে ‘খুনের’ মামলা দায়ের হয়। গান্ধীসাগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তরুণা ভরদ্বাজকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, ললিতার আত্মীয়েরা মাথা থেঁতলে যাওয়া এক মহিলার দেহে থাকা ট্যাটু এবং পায়ে বাঁধা কালো দড়ি দেখে দেহটি চিহ্নিত করেন।
ললিতার বাবা নানুরাম বাঁছড়া বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের করার পর থান্ডলা পুলিশ আমাদের জানায় যে মাথা থেঁতলে থাকা এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে গিয়ে মৃতার শরীরে থাকা ট্যাটু এবং পায়ে কালো দড়ি বাঁধা দেখে সেটি আমাদের মেয়ের মৃতদেহ বলে শনাক্ত করি। শেষকৃত্যও করা হয়।’’
আরও পড়ুন:
কিন্তু কী ভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন ললিতা? শাহরুখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে ভানপুরায় চলে যান নাভালি গ্রামের বাসিন্দা ললিতা। সেখানে শাহরুখ তাঁকে অন্য এক জনের কাছে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘বিক্রি’ করেন। ললিতার অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তাঁকে রাজস্থানের কোটায় নিয়ে যান এবং সেখানে তিনি প্রায় ১৮ মাস ছিলেন। তবে, সুযোগ পেয়েই সেখান থেকে পালিয়ে যান। ললিতা জানিয়েছেন, তাঁর কাছে মোবাইল ফোন না থাকার কারণে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, ললিতাকে খুনের অভিযোগে চার জনের জেলের সাজা হয়েছিল। এখন তিনি ফিরে আসার পর মান্দসৌরের পুলিশ সুপার অভিষেক আনন্দ জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝাবুয়ার এসপি পদ্মবিলোচন শুক্লা জানিয়েছেন, স্থানীয় আদালত বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। যে মৃতদেহটি ললিতার ভেবে ভুল করা হয়েছিল, তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন করে তদন্ত শুরু হবে। ললিতারও ডিএনএ পরীক্ষা হবে। সাক্ষীদের বয়ানও নতুন করে রেকর্ড করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।