ছবির টিজ়ার সদ্য মুক্তি পেয়েছে। কটাক্ষের শিকার সলমন খান! ‘দেখেছিস, হাঁটুর থেকেও ছোট নায়িকার সঙ্গে রোম্যান্স করছে’! ‘সিকন্দর’ ছবির জন্য এমন কথাই শুনতে হয়েছে তাঁকে। সে দিন একটা কথাও বলেননি তিনি। চুপচাপ শুনেছেন। জবাব দিলেন রবিবার, ছবির ট্রেলারমুক্তির দিন। ‘ভাইজান’-এর সঙ্গে এ দিন ছিলেন ছবির নায়িকা রশ্মিকা মন্দনা, সত্যরাজ, প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা, কাজল আগরওয়াল প্রমুখ। সকলের সামনে সলমন ধুইয়ে দিলেন নিন্দকদের। সপাট বললেন, “হোক ৩১ বছরের পার্থক্য! রশ্মিকার আপত্তি নেই। ওঁর বাবার কোনও আপত্তি নেই। তা হলে আপনাদের সমস্যা কোথায়?”
অভিনেতা এ দিন শুরু থেকেই মেজাজে ছিলেন। প্রেক্ষাগৃহে ছেলের ছবির ট্রেলার দেখতে এসেছিলেন চিত্রনাট্যকার বাবা সেলিম খান। সারা ক্ষণ বাবাকে আগলাতে দেখা যায় তাঁকে। রশ্মিকাকেও সমানে আগলেছেন তাঁর ৩১ বছরের বড় নায়ক! মঞ্চে হাত ধরে তাঁকে সামনে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। কখনও রশ্মিকার প্রিয় ভঙ্গি নকল করে অনুরাগীদের মন জয় করেছেন। পর্দায় তাঁদের জুটি নিয়ে যতই কাটাছেঁড়া হোক, বাস্তবে তাঁদের কাজ করার অভিজ্ঞতা খুবই ভাল— এ কথা জানাতেও ভোলেননি।
আরও পড়ুন:
সেই জায়গা থেকে সলমনের দাবি, “আগামীতে রশ্মিকা বিয়ে করবেন। তাঁর সন্তান হবে। তার পরেও আমরা জুটি বেঁধে কাজ করব।” বলেই নায়িকাকে জিজ্ঞেস করেন, “কী তাই তো?” সঙ্গে সঙ্গে বড় করে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেন রশ্মিকা। সলমন রসিকতাও করেন, আশা, রশ্মিকার মা তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের অনুমতি দেবেন। প্রেক্ষাগৃহে তখন করতালির ঝড়। এ দিন ছবিশিকারিদেরও ছাড়েননি তিনি। তাঁদের লক্ষ্য করে বলে ওঠেন, “মাঝেমাঝে নানা কারণে হয়তো কয়েক রাত ঘুম হল না। সঙ্গে সঙ্গে নেটাগরিকেরা হাত ধুয়ে পিছনে পড়ে যান। নানা ভাবে কৌতূহল প্রকাশ করেন। তাঁদের বোঝাতে হয়, ‘সলমনের সব কিছু এখনও ফুরিয়ে যায়নি’!” উপস্থিত প্রত্যেকে ‘ভাইজান’-এর রসিকতায় খুশি। ট্রেলার দেখে এ দিন উপস্থিত দর্শক অনুরাগী এবং সমালোচকেরা সলমনের প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছেন। প্রযোজকের কথায়, “৩০ মার্চ, ইদে আমাদের ভাগ্যপরীক্ষা। আমরা থাকব না কি থাকব না— সে দিন নির্ধারিত হবে।”
অনুষ্ঠান শেষের পর রাতারাতি সলমনকে দেশের বাইরে উড়ে যেতে দেখা যায়। তাঁর সফরসঙ্গী ইউলিয়া ভন্তুর।