প্রাক্তন মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে গলা কেটে খুনের কয়েক দিন পরেই হোলির আনন্দে মেতেছিলেন তাঁর স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী! সঙ্গে ছিলেন প্রেমিক সাহিল শুক্লও। আবির মেখে একে অপরকে জড়িয়ে চলেছিল উৎসব উদ্যাপন। তেমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের মেরঠে গত ৪ মার্চ সৌরভকে গলা কেটে খুন করেন মুস্কান এবং সাহিল। তার আগে সৌরভের খাবারে মেশানো হয়েছিল ঘুমের ওষুধ, যা নিজের ওষুধ হিসাবে কিনে এনেছিলেন মুস্কান। সৌরভকে খুনের পরে স্নানঘরে নিয়ে গিয়ে দেহ ১৫ টুকরো করেন সাহিল ও মুস্কান। তার পরে কিনে আনা নীল রঙের ড্রামে দেহ ভরে উপরে সিমেন্ট ঢেলে দেন। পরে গ্রেফতার হন দু’জনেই। গত বুধবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন:
প্রাক্তন মার্চেন্ট নেভি অফিসারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে হইচই পড়েছে। প্রতিনিয়ত উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। সেই আবহেই মুস্কান এবং সাহিলের হোলি খেলার ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছে। খবর, ভিডিয়োটি সৌরভকে নৃশংস ভাবে খুন করার কয়েক দিন পরের। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে হোলির আনন্দে মেতেছেন মুস্কান। উভয়েই সারা গায়ে আবির মেখেছেন। হাসতে হাসতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উৎসব উপভোগ করছেন। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, ১০ দিন আগে ঠান্ডা মাথায় কাউকে খুন করেছে ওই যুগল। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। আলোড়ন ফেলেছে ভিডিয়োটি।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার ‘সচিন গুপ্ত’ নামে একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন ভিডিয়োটি। ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের একাংশ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আবার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেউ কেউ। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অনেকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়ো দেখে লিখেছেন, ‘‘এক জন মহিলা কী ভাবে এত ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক হতে পারেন?” অন্য এক জন লিখেছেন, “উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং আদালতের কাছে হাতজোড় করে আবেদন, এই দু’জনের যেন কঠোর শাস্তি হয়। কী ভাবে হাসতে হাসতে দোল খেলছে! এদের দেখে কেউ বলবে যে এরা ১০ দিন আগে খুন করেছে এক জনকে!’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০২১ সালে স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন সৌরভ। জেরায় মুস্কান জানিয়েছেন, সাহিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তার অনেক আগে, ২০১৯ সাল থেকে। পরে মেয়ের কথা ভেবে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি সৌরভ। ২০২৩ সালেও নাকি সৌরভকে এক বার খুনের চেষ্টা করেন মুস্কান ও সাহিল। সে বার ব্যর্থ হয়ে এ বার আগেভাগে ‘প্রস্তুতি’ নিয়ে রেখেছিলেন দু’জন। অন্য দিকে, সৌরভের মা রেণু দেবীর অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে হত্যার কথা আগেই জানতেন মুস্কানের সৎমা। পরে ভেবেচিন্তে পুলিশি ঝামেলার কথা ভেবে মেয়েকে নিয়ে থানায় যান।