প্রতীকী ছবি।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এই নামের সঙ্গে অনেক রহস্যময় কাহিনি জড়িয়ে আছে। আজও এই জায়গা রহস্যই থেকে গিয়েছে। এই জায়গায় গেলে নাকি আর রক্ষে নেই! কত জাহাজ, বিমান নাকি স্রেফ গিলে নিয়েছে এই জায়গা। এটা নাকি ‘না ফেরার দেশ’। এটি তাই ‘ডেভিলস ট্রায়াঙ্গল’ নামেও খ্যাত।এ বার সেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলেই ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রুজ সংস্থা নরওয়েজিয়ান প্রাইমা লাইনার। দু’দিনের সফরে যাত্রীপিছু খরচ ১,৪৫০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা)। সঙ্গে সংস্থাটি একটি প্রস্তাবও দিয়েছে। যদি তাদের জাহাজ বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়, তা হলে যাত্রীদের প্রত্যেককে তাঁদের সফরের খরচ পুরোটা ফেরত দেওয়া হবে।
প্রাইমা লাইনার তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের এই সফরে হারিয়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। ওই জায়গা থেকে সশরীরে ফেরত আসার ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে। যদি ফিরতে না পারা যায়, তা হলে যাত্রীদের পুরো টাকাটাই ফেরত দেওয়া হবে। তবে এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, হারিয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কাই নেই।’
তবে প্রশ্ন একটাই। যদি কোনও ভাবে জাহাজ হারিয়েই যায়, তা হলে টাকা ফেরত নিতে কী ভাবে কোনও যাত্রী আসবেন?
২০১৭-তে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানী কার্লস ক্রুসজেলনিকি দাবি করেছিলেন, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উদ্ঘাটন করে ফেলেছেন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এখানে কোনও রহস্যই নেই যে সমাধান করতে হবে। আসলে যা ঘটেছে বা ঘটছে তা মানুষের ভুল এবং খারাপ আবহাওয়ার জন্য। অতলান্তিক মহাসাগরে আমেরিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং পুয়ের্তো রিকোর মাঝামাঝি জায়গা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy