কোকেন দিয়ে নেশা করানো হত হিংস্র পিটবুলদের। শেষমেশ ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধাকে কামড়ে খুবলে খেল এক দম্পতির পোষা নেশাগ্রস্ত দুই ভয়ঙ্কর কুকুর। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ওহায়োয়। জোয়ান এচেলবার্গার নামের ওই বৃদ্ধা নিজের বাগানে গাছের যত্ন নিচ্ছিলেন। কিছুটা দূরে হুইলচেয়ারে বসেছিলেন তাঁর অসুস্থ স্বামী। হঠাৎ করেই অ্যাডাম এবং সুসান উইথার্স নামের দম্পতির কুকুর দু’টি এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বৃদ্ধার উপর। কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান জোয়ান। তাঁর স্বামী ডিমেনসিয়া আক্রান্ত এবং হুইলচেয়ারে বন্দি থাকার কারণে অসহায় হয়ে সেই দৃশ্য দেখেন। পুলিশ এসে কুকুর দু’টিকে গুলি করতে বাধ্য হয়। আহত হয়েও একটি কুকুর পাল্টা আক্রমণ করতে তেড়ে আসে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। গুলিতে মারা যায় কুকুর দু’টি।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিষের পরীক্ষা করার পর কুকুর দু’টির পেট থেকে কোকেনের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। টক্সিকোলজি পরীক্ষার পরে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, আক্রমণের সময় কুকুরগুলির শরীরে কোকেন ছিল। পোষ্য পিটবুলগুলি হামলা চালানোর পর উইথার্স দম্পতির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় কুকুরের ওয়ার্ডেন এবং অভিযুক্ত দম্পতি যেখানে থাকতেন সেই কনডোমিনিয়াম কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
অভিযোগ, এই ঘটনাই প্রথম নয়। কুকুর দু’টির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই অভিযোগ জমা পড়েছিল। দম্পতি যেখানে থাকতেন সেখানকার বাড়ির মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পিটবুলগুলিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এক জন বিচারকও কুকুরগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালের অক্টোবরে অন্য এক বাসিন্দার একটি কুকুরছানাকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে একটি পিটবুল। সেই ঘটনার পর পিটবুলটিকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আইনি হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কুকুরগুলি কমপ্লেক্সেই রয়ে যায় ও বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এই মামলায় ২৫ হাজার ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিচারের সময় অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণও নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অ্যাডাম এবং সুসানের সাজা ঘোষণার তারিখ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।