পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্তে এ বার পশ্চিমবঙ্গে এল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। শনিবার দুপুরে এনআইএ-র তিন আধিকারিকারিক যান পহেলগাঁও কাণ্ডে হত বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহর বাড়িতে। প্রায় চার ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ছিলেন আধিকারিকারেরা। কথা বলেন নিহত সমীরের স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে!
স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন সমীর। গত বুধবারই ঘরে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু জীবিত অবস্থায় আর ফেরা হল না সমীরের। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তাঁর শরীর। ঘটনার সময় সমীরের সঙ্গেই ছিলেন স্ত্রী শবরী এবং কন্যা। তাঁদের চোখের সামনেই জঙ্গিদের হাতে খুন হন কেন্দ্রীয় সরকারের জুনিয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার পদে থাকা সমীর।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে ঠিক কী ঘটেছিল? কত জন জঙ্গি ছিল? কী কী কথাবার্তা বলেছে তারা? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। তারই সূত্র ধরে শনিবার সমীরের বেহালার বাড়িতে আসেন এনআইএ আধিকারিকেরা। প্রত্যক্ষদর্শী শবরী এবং তাঁর কন্যার সঙ্গে কথা বলে মঙ্গলবারের ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁও কাণ্ডে বাংলার আরও দুই বাসিন্দার মৃত্যু হয়। পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্র। দু’জনেই পরিবার নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ছিলেন পহেলগাঁওয়ে। বিতানের সঙ্গে ছিল তাঁর স্ত্রী সোহিনী এবং তাঁদের সন্তান। আর মণীশও স্ত্রী এবং দুই পুত্র-কন্যাকে নিয়ে কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। কিন্তু জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন বিতান এবং মণীশ। সূত্রের খবর, সমীরের পর বিতান এবং মণীশের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন এনআইএ আধিকারিকারেরা। তবে কবে তাদের সঙ্গে দেখা করবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।