অন্ধ্রপ্রদেশে চালু হতে চলেছে সিপ্লেন। কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে মহড়া দৌড়। ছবি: সংগৃহীত।
পর্যটনের প্রসারে এ বার সিপ্লেন চালুর সিদ্ধান্ত নিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। চলতি মাসে ৯-১৫ তারিখের মধ্যেই হবে মহড়া দৌড়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিষেবা শুরু হবে।
আকাশ থেকে সমুদ্র, সৈকত, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের অন্যতম উপায় সিপ্লেন। বিমান সমুদ্রের উপর দিয়ে উড়ে গেলে আকাশ থেকে তা দেখা যায় বটে, তবে তা অনেক উঁচু থেকে। ভাল ভাবে কোনওটাই দৃষ্টিগোচর হয় না।
কিন্তু সিপ্লেন ওড়ে অনেক নীচ দিয়ে। ফলে আকাশ থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সেই লক্ষ্যেই অন্ধপ্রদেশে সিপ্লেন চালুর পরিকল্পনা করেছে সরকার।
প্রথমে ১০ আসনের সিপ্লেন চালানো হবে। বিষয়টি দেখভাল করবে অন্ধ্রপ্রদেশ এয়ারপোর্টস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। বিজয়ওয়াড়ার প্রকাশম বাঁধ থেকে সিপ্লেন উড়বে। নামবে শ্রীশৈলমের পাথালঙ্গায়। ৪০ মিনিটের যাত্রাপথে জলাধার, কৃষ্ণা নদী, নাল্লামাল্লা জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।
অন্ধ্রপ্রদেশের ননদয়াল জেলার একটি সুন্দর শৈল শহর শ্রীশৈলম। এখানে রয়েছে মল্লিকার্জুন জ্যোর্তিলিঙ্গ মন্দির। প্রতি বছরই পুন্যার্থীদের ঢল নামে এই শহরে। কাছেই কৃষ্ণা নদীর উপর গড়ে উঠেছে শ্রীশৈলম জলাধার। তীর্থযাত্রী ছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে এখানে ভিড় জমান পর্যটকেরা।
সিপ্লেন চালু হলে এক দিকে যেমন আকাশপথে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে, তেমনই তীর্থযাত্রীদেরও সুবিধা হবে। বিজয়ওয়াড়া থেকে শ্রীশৈলমের দূরত্ব ২৬৩ কিলোমিটার। এতটা দূরত্ব সিপ্লেনে যেতে লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের আশা সিপ্লেনের জন্য বহু পর্যটক ছুটে আসবেন।
ভারতে হাতে গোনা কয়েটি জায়গায় সিপ্লেন পরিষেবা রয়েছে। কেরলে সিপ্লেন পরিষেবা চালু হয় ২০১৩ সালে। তবে তা জনপ্রিয় হয়নি। ২০২০ সালে আমদাবাদ থেকে কেভাদিয়া পর্যন্ত সিপ্লেন পরিষেবা শুরু হলেও কয়েক মাসের মধ্যে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে অদূর ভবিষ্যতে আন্দামান এবং লক্ষদ্বীপেও সিপ্লেন পরিষেবা পাবেন পর্যটকেরা। সেই লক্ষ্যেই একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy