বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির। ছবি: সংগৃহীত।
বিস্তর খরচ করে দূর-দূরান্ত ঘুরে এলেও ঘরের কাছের অনেক কিছুই দেখা হয়ে ওঠে না। শহর কলকাতার কাছেই ছড়িয়ে থাকা মন্দির-মসজিদ-গির্জা তেমন ভাবে দেখা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এমনই এক জায়গা হুগলির বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির।
এখানে এলে প্রথমেই নজর কাড়ে স্থাপত্যশৈলী যা, আর পাঁচটা মন্দিরের চেয়ে আলাদা। ৫ তলা এই মন্দিরে রয়েছে ১৩টি চূড়া। চূড়ার মাথায় পদ্মের কুঁড়ি। জানা যায়, ১৭৯৯ সালে এই মন্দির নির্মাণ শুরু করেছিলেন বাঁশবেড়িয়ার রাজা নৃসিংহ দেব। তাঁর মৃত্যুর পর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন তাঁর স্ত্রী শঙ্করী দেবী।
এই মন্দিরে আরাধ্যা দেবী হংসেশ্বরী। কার্যত তিনি মা কালীরই এক রূপ। পদ্মের উপর দেবী অধিষ্ঠিতা। চতুর্ভুজা মূর্তির গাত্রবর্ণ নীল। উপরের বাম হাতে তরবারি, নীচের বাম হাতে কাটা মুণ্ড, উপরের ডান হাতে অভয় মুদ্রা, নীচের ডান হাতে আশীর্বাদের ভঙ্গিমা।
হংসেশ্বরী মন্দিরের নির্মাণশৈলীতে তন্ত্রোক্ত একাধিক বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। মন্দির ঘিরে রয়েছে সাজানো বাগান।
তারই একপাশে অনন্ত বাসুদেব মন্দির। অপূর্ব টেরাকোটার কাজ তাতে। শীতের দিনে বাগানে ফুটে থাকে রকমারি গোলাপ। কাছেই রয়েছে সম্ভবা কালী মন্দির।
কী ভাবে আসবেন
হাওড়া-কাটোয়া লাইনে বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে নেমে হংসেশ্বরী মন্দিরে আসতে পারেন। ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে অটো বুক করেও এখানে আসতে পারেন। কলকাতা থেকে দিল্লি রোড ধরেও গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন। দূরত্ব মোটমুটি ৫০ কিলোমিটার।
আর কোথায় ঘুরবেন
বাঁশবেড়িয়া থেকে ঘুরে নিতে পারেন ত্রিবেণীর কাছে জাফর খাঁ গাজির দরগা। এই স্থানটিও ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ রক্ষণাবেক্ষণ করে। বাংলায় ইসলামিক স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন এটি।
এ ছাড়াও ঘুরে নিতে পারেন ব্যান্ডেল চার্চ ও বড় ইমামবাড়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy