ভুলেও নামা চলবে না এই নদীগুলিতে ছবি: সংগৃহীত
ভারত নদীমাতৃক দেশ। নদী বলতেই তাই গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র কিংবা কাবেরীর কথা মনে আসা অস্বাভাবিক নয়। বিরল নয় নদীতে নেমে জলকেলিতে মত্ত হওয়াও। কিন্তু জানেন কি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে এমন কিছু নদী, যেগুলিতে জলকেলি করতে নামলে আক্ষরিক অর্থেই হতে পারে ‘গঙ্গাপ্রাপ্তি’?
১। হোয়ারফে, ইংল্যান্ড
এ যেন এক প্রাকৃতিক ফাঁদ! দেখতে যতটা সুন্দর, ততটাই বিপজ্জনক এই নদী। শোনা যায়, ইয়র্কশায়ারের কাছে এই নদীতে কেউ পড়ে গেলে নাকি আর ফিরে আসেন না! কেন, তা আজও এক রহস্য। কারও কারও মতে এই নদীগর্ভে রয়েছে অসংখ্য প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গেই নাকি তলিয়ে যায় মানুষ।
২। শানায়-টিমপিশকা, পেরু
পেরুর এই নদী পৃথিবীর একমাত্র ‘ফুটন্ত নদী’ হিসেবে পরিচিত। সাড়ে ছ’কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীর জল এত উষ্ণ যে, কোনও মানুষ এই জলে পড়ে গেলে তার পক্ষে বেঁচে ফেরা কার্যত অসম্ভব। নদীটির ন্যূনতম উষ্ণতা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও এই উষ্ণতা পৌঁছে যায় ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! ফুটতে শুরু করে জল।
৩। কঙ্গো, আফ্রিকা
কঙ্গো পৃথিবীর গভীরতম নদী। কোথাও কোথাও এই নদীর গভীরতা ৭০০ ফুটেরও বেশি। এই গভীরতার জন্য নদীটির তলদেশে আলো পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। তাই নদীর তলায় ঠিক কী রয়েছে, তা নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই।
৪। মিসিসিপি, উত্তর আমেরিকা
মিসিসিপি উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম নদী। আপাত-শান্ত এই নদীটিও প্রতি বছর বেশ কিছু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। মিসিসিপি নদী ‘বুল শার্ক’ ও ‘পাইক’ নামক এক প্রজাতির মাছের বাসস্থান। এই মাছগুলির আক্রমণে প্রতি বছর মারা যান বহু মানুষ। পাশাপাশি, এই নদীতে রয়েছে অসংখ্য ঘূর্ণি, যা খালি চোখে ঠাহর করা কঠিন।
৫। নীল নদ, আফ্রিকা
শুধু মিশর নয়, আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের উপর দিয়ে বয়ে চলা নীল নদ আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জীবনরেখা। এহেন নীল নদেও লুকিয়ে আছে বিপদ। নদ জুড়ে কুমিরের বাস। প্রতি বছর গড়ে ২০০ জন মানুষ মারা যান সেই কুমিরের আক্রমণে। নীল নদের জলে হদিশ মেলে বেশ কিছু মারণ জীবাণুরও। তাই এই নদীর বেশ কিছু অংশে স্নান করেন না স্থানীয় লোকজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy