তাজপুরের সুলুক সন্ধান। ছবি: শাটরস্টক।
বড়দিনের ছুটি খুব বড় নয়। তবুও নাগরিক ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে এই কয়েক দিনের ছুটিতেই অনেকে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। ভিড় এড়িয়ে অল্প সময়ে শান্ত প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে আদর্শ গন্তব্য হতে পারে তাজপুরের সমুদ্র সৈকত।
পরিচিতি:
মন্দারমণি ও শঙ্করপুরের মাঝামাঝি অবস্থিত তাজপুর। দিঘার ভিড় বা মন্দারমণির কৃত্তিমতা কোনওটিই নেই এখানে। কিন্তু রয়েছে বালিয়াড়ি, ঝাউবন আর নির্জন সমুদ্রের অসীমতার অনাবিল আকর্ষণ।
কী ভাবে যাবেন:
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে যেতে হলে নামতে হবে রামনগর স্টেশনে। রামনগর থেকে সড়ক পথে তাজপুর যেতে সময় লাগে প্রায় চল্লিশ মিনিট। রামনগর স্টেশনের বাইরের রয়েছে গাড়ির স্ট্যান্ড।
ট্রেনের বদলে গোড়া থেকেই গাড়িতে যেতে চাইলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছতে হবে কোলাঘাট। কোলাঘাট থেকে যেতে হবে নন্দকুমারের দিকে। নন্দকুমার থেকে কাঁথি বা রামনগরের রাস্তায় গেলে চাউলখোলা। বাসে এলে নামতে হবে এই চাউলখোলাতেই। এখান থেকে তাজপুর যাওয়ার ভ্যান বা অটো পেয়ে যাবেন।
কোথায় থাকবেন:
জনসমাগম খুব বেশি না হলেও থাকার জায়গার অভাব নেই তাজপুরে। সাধারণ থেকে বেশি দামি প্রায় সব ধরনের থাকার জায়গাই মিলবে এখানে। সাধারণত থাকার জায়গাতেই মেলে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও। গন্তব্যে পৌঁছে খোঁজাখুজির ঝক্কি পোহাতে না চাইলে পছন্দের রিসর্ট বুক করে নিতে পারেন নেটমাধ্যমেই।
কী করবেন:
তাজপুরে সাধারণত তাঁরাই যান যাঁরা ব্যস্ত জীবনের থেকে কিছুটা বিরতি চান। কাজেই কিছু না করে শুধু ঝাউবন আর সমুদ্র দেখেই কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে দু’-তিনটি দিন। তবে এখন দিঘার মতোই তাজপুরের সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা হয়েছে। চাইলে এই সুযোগে ঘুরে নিতেন পারেন দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy