Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
সচিন-সৌরভের টোটকা থেকে ভিজে বলে প্র্যাকটিস

জাত বোঝানোর সময় এসেছে, হুঙ্কার রায়নার

অ্যালিস্টার কুকের দেশের বিরুদ্ধে বিপর্যয়ের টেস্ট সিরিজে ছিলেন না সুরেশ রায়না। ওই সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে। সচিন তেন্ডুলকরের টিপস থেকে ব্রিটিশ আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়ার টেকনিক-পাঠ সেখানে সবই চলেছে রায়নার।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩১
Share: Save:

অ্যালিস্টার কুকের দেশের বিরুদ্ধে বিপর্যয়ের টেস্ট সিরিজে ছিলেন না সুরেশ রায়না। ওই সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছিল মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে। সচিন তেন্ডুলকরের টিপস থেকে ব্রিটিশ আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়ার টেকনিক-পাঠ সেখানে সবই চলেছে রায়নার।

হয়তো সে জন্যই বিলেতের মাঠে ভারতীয়দের কুঁকড়ে থাকা শরীরী ভাষা স্পর্শ করতে পারেনি রায়নাকে। তরতাজা রায়না ইংল্যান্ড পৌঁছেই হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াইয়ের সময় এসে গিয়েছে। ভারতীয়দের সময় এসেছে নিজেদের জাতটা বুঝিয়ে দেওয়ারও! “টিমটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এখনই সময় নিজেদের দৃঢ় চরিত্র দেখানোর। নিজেদের জাত বোঝানোর,” এক সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন রায়না। জানিয়ে দিচ্ছেন, ওয়ান ডে সিরিজে তিনি সিনিয়র হিসেবে দায়িত্ব নেবেন সংসারের আবহাওয়া ঠিক করার। “চেষ্টা করি টিমকে ফুরফুরে রাখার। মাঠে, মাঠের বাইরেও। খুব ছোট ছোট জিনিস টিমের আবহাওয়া পাল্টে দেয়। যেমন ফাইন লেগ ফিল্ডারের কাছে দৌড়ে গিয়ে তার সঙ্গে একটু কথা বলা। আবার কারও সোয়েটারটা নিয়ে আসা। এক বার কেউ এগুলো করলে বাকিদের মধ্যে আপনাআপনিই সেটা ছড়িয়ে পড়ে। এ রকম পরিবেশ তৈরি করতে হলে কাউকে লিড নিতে হয়। সেটা আমি নিই,” বলেছেন রায়না।

কিন্তু তাতে একটা বিধ্বস্ত টিমের রাতারাতি উন্নতি সম্ভব? “ওয়ান ডে সিরিজে ভাল কিছু করে দেখানোটা অসম্ভব নয়। নিজেও দায়িত্ব নেব।”

যে কারণেই সচিন তেন্ডুলকরের পরামর্শ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ছোটা। যে কারণেই দিনের পর দিন ভিজে বলে প্র্যাকটিস।

ভারতের বাংলাদেশ সফরের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামেননি রায়না। বরং মাঝের এই সময়টা তাঁকে দেখা গিয়েছে নয়াদিল্লির বিভিন্ন টার্ফে। লখনউয়ে নিজের বোর্ডিং স্কুলে। এবং সব শেষে মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে, সচিনের সঙ্গে।

বান্দ্রাায় মাঝেমধ্যেই ছেলে অর্জুনের সঙ্গে যান সচিন। অর্জুনের নেট সেশন চলার সময় ব্যাডমিন্টন খেলেন। রায়না ওখানেই টিপস নিয়েছেন সচিনের। “ইংল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে কী ভাবে মানিয়ে নিতে হবে সেটা জেনেছি। টেকনিকের ব্যাপারগুলো আবার আমরে স্যরের কাছ থেকে দেখে নিয়েছি। ইংল্যান্ডে আসার আগে ভিজে বলেও প্র্যাকটিস করেছি। যাতে মুভমেন্টের সময় অসুবিধেয় না পড়তে হয়।” আর সৌরভ? তাঁর কাছেও তো গিয়েছিলেন। “দাদির সঙ্গেও ব্যাটিং নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। দাদিও বাঁ-হাতি হওয়ায় আমার হাতের পজিশন কী হওয়া উচিত, সেটা জানতে পেরেছি।”

অন্য বিষয়গুলি:

cricket india-england raina
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE