যে ভাবে এগিয়ে চলেছে নিউজিল্যান্ড, তাতে তারা গ্রুপ শীর্ষে থেকেই শেষ করবে বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং।
সেক্ষেত্রে তাদের শেষ আটের লড়াইয়ে অন্য গ্রুপের চার নম্বর দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতে হবে। এর মাঝে কোনও অঘটন না ঘটলে এবং ভারতও ঠিকঠাক এগোলে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের মোকাবিলা হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। সম্ভাব্য সেই ম্যাচ মোটেই ভারতের পক্ষে সহজ হবে না বলেই মনে করছেন ফ্লেমিং। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অকল্যান্ডে ইডেন পার্কের পরিবেশ ও উইকেটের তফাত যে যথেষ্ট, তা যে ভাবে শনিবার টের পেলেন এবি ডেভিলিয়ার্সরা, ভাল হোম ওয়ার্ক ও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে সেখানে না নামলে যে কোনও দলকে ধাক্কা খেতে পারেন বলে কিউয়ি তারকার ধারণা।
শনিবার ইডেন পার্কে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ চলাকালীন ফ্লেমিং বলছিলেন, “ইডেন পার্কে সবসময় আগে বোলিং করে নেওয়া উচিত। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে বড় রান তোলা খুব কঠিন কাজ। বরং রান তাড়া করা ভাল। এখন তো টি-টোয়েন্টির দৌলতে ব্যাটসম্যানরা রান তাড়া করার চাপ নিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তাই এই মাঠে আগে বল করে নিয়ে রান তাড়া করা উচিত।”
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা ফ্লেমিংয়ের এই পরামর্শ মেনে ইডেন পার্কে নামেন কি না, সেটাই দেখার। সেমিফাইনালে কিউয়িদের বিরুদ্ধে খেলতে হলে তাদের তো ইডেন পার্কেই নামতে হবে। তার আগে অবশ্য ইডেন পার্কে একটা ম্যাচ খেলে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচে সেমিফাইনালের মহড়া সেরে নিতে পারেন ধোনিরা।
এক সপ্তাহ আগে এই মাঠেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এক উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। অজিদের ১৫১ রানে অল আউট করে দিয়ে পরে মাত্র ২৩ ওভারে সেই রান তুলে নিলেও ন’উইকেট খোয়ায় তারা। শনিবারও দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান ম্যাচে দু’দলের ব্যাটসম্যানরাই বেশ সমস্যায় ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওই জয়ই ব্রেন্ডন ম্যাকালামদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে বলে ফ্লেমিংয়ের ধারণা। তাঁর মতে, “এই আত্মবিশ্বাসটা ওদের নক আউটেও কাজে লাগবে। সত্যি বলতে, ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে খুব জং ধরা দল মনে হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলার পর প্রায় দু’সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে মাঠে নেমেছিল ওরা। ওদের ব্যাটসম্যানদের কয়েকটা শট দেখে সে দিন মনে হয়েছিল ওদের বিশ্বকাপ এখনও শুরু হয়নি।” ইডেন পার্কের ছোট মাঠও ব্যাটসম্যানদের আখেরে সমস্যায় ফেলে বলে মনে করেন ফ্লেমিং। তাঁর মতে, “ছোট মাঠ দেখে ব্যাটসম্যানরা ভাবে এখানে অনায়াসে সাড়ে তিনশো করা যাবে। তাই চাপটা সামলানোর চেষ্টা না করে শুরু থেকেই একেবারে টপ গিয়ারে ব্যাট চালাতে শুরু করে দেয়। অন্য মাঠে কিন্তু এ রকম করে না তারা।”
তবে নিউজিল্যান্ডকে সতর্কও করতে চান ফ্লেমিং। বলেন, “এখন থেকেই বিশাল কিছু ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। প্রতি ম্যাচের পরিস্থিতি ও বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা অনুযায়ী পরিকল্পনা করে তবেই এগোনো উচিত ম্যাকালামদের। একটু অসাবধান হলেই কিন্তু মুশকিল। বিশেষ করে নক আউটে কোনও দলকেই সামান্য কম গুরুত্বও দেওয়া উচিত হবে না। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা সব দলেরই খারাপ দিন এসেছে। ওদেরও যে আসতে পারে না, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy