ময়দানি ক্রিকেটে ‘মস্তানি’র দিন শেষ? অবজার্ভাররা কিন্তু এসে গিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ রেফারির মতো স্থানীয় ক্রিকেটে চালু হয়েছে অবজার্ভার। যা সিএবি যুগ্ম সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। বৃহস্পতিবার সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগে এরিয়ান-ভূকৈলাশ ম্যাচের আগে যে ভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলালেন সিএবি নিযুক্ত অবজার্ভার, তার পর থেকে ময়দানি আলোচ্য হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে যা শুরু হয়েছিল, তা এ বার সারা লিগে চালু হয়েছে ১৮ জন প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার ও বোর্ড আম্পায়ারদের দিয়ে। এঁদের রীতিমতো ওয়ার্কশপ করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন সৌরভ, রাজু মুখোপাধ্যায়রা। ক্লাব ও ময়দান থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়া বলছে, সিএবি-র এই পদক্ষেপে স্থানীয় ক্রিকেটে ‘উচ্ছৃঙ্খলতা’ কমেছে। অন্য যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি তেমনই। বৃহস্পতিবার এরিয়ান-ম্যাচে যিনি কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলান, সেই অবজার্ভার তপন ভট্টাচার্যের মতে, “আম্পায়াররা এখন নির্ভয়ে নিজেদের কাজ করতে পারছেন বলে নিজেরাই জানাচ্ছেন। যে ক্লাবগুলোর অশান্তি করার ব্যাপারে বদনাম ছিল, তারাও এখন অনেক সংযত।” বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার গোপাল বসু বলছেন, “উদ্যোগটা প্রশংসনীয়। এতে ময়দানে গড়াপেটা নির্মূল হলে আরও খুশি হব। চাকিং নিয়ে বেশ কিছুটা এগনো গিয়েছে।” অবজার্ভারদের নিরপেক্ষতা ও তাঁদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠছে। বর্ষীয়ান আম্পায়ার ও কোচ প্রসেনজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলছেন, “অবজার্ভারদের জন্য আম্পায়ারদের চাপ অনেক কমেছে ঠিক। কিন্তু অবজার্ভারদের কাজ কী, এটাই তো আম্পায়ার, ক্লাব, কোচদের কাছে স্পষ্ট নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy