ফাইল চিত্র।
কাঁধের চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পথে মহম্মদ সালাহ। আশা করছেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যাঁর ধাক্কায় চোট পেয়ে এই অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন মিশরের ফরোয়ার্ড, সেই স্পেন ও রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক সের্খিও র্যামোসকে এখনও ক্ষমা করতে পারেননি তিনি। র্যামোস তাঁর সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে চাইলেও তাঁর সঙ্গে দূরত্ব কমাতে নারাজ লিভারপুল তারকা। বলছেন, ‘‘র্যামোস আমাকে মোবাইল বার্তা পাঠালেও, আমি কখনওই ওকে বলিনি, সব ঠিক আছে।’’
কিয়েভে গত ২৬ মে র্যামোসের সঙ্গে সংঘর্ষে কাঁধে চোট পেয়ে বিশ্বকাপে অনিশ্চিত হয়ে পড়েন সালাহ। তবে মিশর শিবিরে সুখবর, বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে, তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। শনিবার এক স্প্যানিশ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাহ বলেন, ‘‘এখন আমি অনেক সুস্থ। আশা করি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারব।’’ গ্রুপ ‘এ’-তে থাকা মিশর তাদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে শুক্রবার, লুইস সুয়ারেসের উরুগুয়ের বিরুদ্ধে। তাদের গ্রুপে আয়োজক রাশিয়া ও সৌদি আরবও রয়েছে।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলা নিয়ে সালাহ বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচের দিন আমি কী রকম থাকি, তার উপর নির্ভর করছে সব কিছু। কিন্তু যে ভাবে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছি, তাতে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’’ সালাহকে না পেলে যে দলের শক্তি অনেকটা কমে যাবে, তা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই মিশর কোচ হেক্টর কুপারের। তাই মিশর শিবিরে তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য এখন প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা চলছে।
কিন্তু তাঁর কাঁধে আঘাত দিয়ে মিশরকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য যাঁকে খলনায়ক বানিয়েছেন সেখানকার ফুটবলপ্রেমীরা, সেই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সের্খিও র্যামোসের সঙ্গে কাজিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন সালাহ। বলেছেন, তাঁকে এখনও ক্ষমা করতে পারেননি। বলেন, ‘‘ওটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত ছিল। তখন মাঠে শুয়ে শুধু যন্ত্রণায় ছটফট করিনি, মানসিক যন্ত্রণাতেও ভুগেছি। ফাইনালটা খেলতে না পারার যন্ত্রণা, বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা! র্যামোস পরে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কখনও বলিনি সব ঠিক আছে।’’
র্যামোস সে দিন শুধু সালাহকে আহত করেননি, লিভারপুলের গোলকিপার লরিস কারিয়াসকেও ধাক্কা মারেন, যার জেরে কারিয়াস মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই ঘটনাকে পিছনে ফেলে রেখে এখন বিশ্বকাপের কথাই ভাবছেন সালাহ। ২৮ বছর পরে তাঁর দেশ বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলছে। এই সাফল্যের পিছনে তাঁর অবদান যথেষ্ট। তবে মূলপর্বে উঠেই থেমে যেতে চান না। বলেন, ‘‘মূলপর্বে ওঠার আগে খুব চাপে ছিলাম। মূলপর্বেও ভাল খেলতে চাই। তিনটে ম্যাচ খেলে দেশে ফিরে যাব, এমন মানসিকতা নিয়ে কিন্তু রাশিয়ায় খেলতে যাচ্ছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy