পাঁচ লাখ টাকা অনুদান যথেষ্ট নয়, মনে করে পশ্চিমবঙ্গ রাইফেল সংস্থা। গ্রাফিক্স - সৌভিক দেবনাথ
এই নিয়ে তৃতীয় বার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী হলেন অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কাছে কী প্রত্যাশা বাংলার খেলাধুলোর? সেটা জানতে উদ্যোগী আনন্দবাজার ডিজিটাল। দ্বিতীয় পর্বে শুটিং।
শুটিংয়ে বাংলা বরাবর সুনাম অর্জন করলেও এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ রাইফেল সংস্থার প্রধান বীরেন্দ্র কুমার ঢাল। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্য থেকে অনেক শুটার দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করলেও এখানে এখনও পর্যন্ত সরকারী সাহায্যে একটা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা গেল না। খেলোয়াড়রা বিভিন্ন বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুশীলন করে নিজের জাত চিনিয়েছে। এই সমস্যা নিয়ে আগেও অনেকবার ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। তবে লাভ হয়নি। আশা করি এ বার আমাদের ব্যাপারটা গুরুত্ব দেবেন।”
‘অলিম্পিক্স স্পোর্টস’এর উন্নতির জন্য গত দুই বছর ধরে প্রতিটি ক্রীড়া সংস্থাকে ৫ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাইফেল সংস্থার প্রধানের মতে সেই টাকায় শুটিংয়ের মতো দামী খেলার উন্নতি সম্ভব নয়। তাই বললেন, “আমাদের খেলায় সাজ সরঞ্জাম খুবই ব্যয় সাপেক্ষ। সেই তুলনায় রাজ্য সরকারের অনুদান খুবই কম। সেটা নিয়েও ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। তবে এটাও ঠিক যে কিছু তো শুরু হল। আগের সরকার তো এই দিক নিয়ে একদম ভাবনাচিন্তা করত না।”
কোভিডের জন্য অন্য খেলাধুলার মতো শুটিংয়ের উপরেও প্রভাব পড়েছে। সেটা মেনে নিচ্ছেন বীরেন্দ্র। তবে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত রাখতে গত বছর থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাঁর সংস্থা অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছে। বললেন, “বাকি সবকিছুর মতো শুটিংয়ের উপরেও প্রভাব পড়েছে। কোভিডের জন্য গত বছর জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলাম। সেই প্রতিযোগিতা চলতি বছর মে থেকে জুন মাসে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। সেটাও বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ভাল দিক হল ১১ থেকে ১৪ মার্চ আয়োজিত হওয়া প্রাক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করেছে বাংলা দল। ফলে এই ভাইরাস আতঙ্ক কাটিয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা শুরু হলেই আমাদের দল লড়াইয়ে নামতে পারবে। তাই আমাদের শুটারদের কোনও সমস্যা হবে না। এমনিতেই অনুশীলন কেন্দ্রে প্রতিটা শুটিং রেঞ্জের দুরত্ব ১ মিটার করে হয়ে থাকে। আর এমন সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য ২ থেকে ৩ মিটারের দুরত্ব তৈরি করেছিলাম। এতে কারও সমস্যা হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy