Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
TMC

অরূপের দরবারে: ক্রীড়া নীতি, সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চাইছে রাজ্য সাঁতার সংস্থা

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সরকার পরিচালিত সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। সেটা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে রাজ্য সাঁতার সংস্থার সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায়ের।

সরকার পরিচালিত সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই, আক্ষেপ করছে সংস্থা

সরকার পরিচালিত সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই, আক্ষেপ করছে সংস্থা গ্রাফিক্স - সৌভিক দেবনাথ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ১৮:০৯
Share: Save:

এই নিয়ে তৃতীয় বার রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী হলেন অরূপ বিশ্বাস। তাঁর কাছে কী প্রত্যাশা বাংলার খেলাধুলোর? সেটা জানতে উদ্যোগী আনন্দবাজার ডিজিটাল। প্রথম পর্বে সাঁতার

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সরকার পরিচালিত সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই। সেটা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে রাজ্য সাঁতার সংস্থার সভাপতি রামানুজ মুখোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি ক্রীড়া নীতি চালু করার ব্যাপারেও সরব তিনি।

ক্রীড়া নীতি প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “ক্রীড়া নীতি বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও এখনও কার্যকর হয়নি। সেটা সার্বিক ভাবে চালু হওয়া দরকার। অন্য রাজ্যের যে কোনও বয়স ভিত্তিক দল জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেলে সেই রাজ্য সরকার কিন্তু ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়ার খরচা দেয়। আমাদের রাজ্যে এই দিকটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হত না। ক্রীড়া নীতি পাশ হওয়ার পর অরূপবাবু এই দিকটা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলেছিলেন। কিন্তু করোনার জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বাংলার হয়ে জাতীয় স্তরে পদক জিতলেই সরকারের তরফ থেকে ভাতা দেওয়া উচিত। খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করার জন্য এটা খুবই জরুরি। বিগত বছরগুলোতে আমাদের রাজ্যের ক্রীড়াবিদরা এই সুবিধা পায়নি। তবে ক্রীড়া নীতির মধ্যে এই বিষয়টিও রয়েছে। বাংলা দলের জার্সির রঙ নীল-সবুজ। আমাদের ৩৪টি সংস্থা যাতে সব প্রতিযোগিতায় এই জার্সি ব্যবহার করে, সেটা বাধ্যতামূলক করা উচিত।”

অতীতে বুলা চৌধুরী কিংবা বর্তমানে সায়নী ঘোষ জলে দাপিয়ে বিশ্ব দরবারে সুনাম অর্জন করেছেন। তবে সেগুলো একক দক্ষতায়। কখনও গঙ্গা, আবার কখনও বেসরকারি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুশীলন করে ওঁরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পদক জিতেছেন। সরকারি উদ্যোগে এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। তাই ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে রামানুজের আবেদন, “কোভিডের জন্য সাঁতার বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। কলেজ স্কোয়ার, সুভাষ সরোবর, সল্টলেক ও উত্তর বঙ্গের তুফানগঞ্জে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও সেগুলো কিন্তু বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে চলে। আগামী দিনে ভাল মানের সাঁতারু তুলে আনতে হলে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। আর সেটা সরকারের পক্ষে সম্ভব। তবে এটাও ঠিক যে করোনার জন্য অন্য খেলাধুলার পাশে সাঁতার অনেক পিছিয়ে গেল।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE