বিষণ্ণ: ধোনি-কোহালির জুটিতে হল না শেষরক্ষা। এএফপি
অধিনায়ক হওয়ার পর ঘরের মাটিতে তিনি প্রথম সিরিজ হারলেন। এবং এমন একজনের কাছে, যিনি এ বারের আইপিএলে ব্রাত্য! বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং ঝড়ে খোয়া গেল টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
ম্যাচের পরে ভারত অধিনায়কও মেনে নিলেন, সমস্ত বিভাগেই তাঁদের চেয়ে এগিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘শেষ দুই ম্যাচে প্রত্যেক বিভাগে ওদের কাছে আমরা হেরেছি। ওরা একেবারে অঙ্ক কষে খেলেছে। তাই ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েও ওরা আমাদের ছাপিয়ে গিয়েছে।’’
বিরাট অবশ্য দলের রান নিয়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের ৫৫ বলে অপরাজিত ১১৩ রানের ইনিংসের সামনে যা একেবারেই ফিকে হয়ে গিয়েছে। কোহালির মন্তব্য, ‘‘যে কোনও মাঠে ১৯০ রান মোটেই খারাপ নয়। কিন্তু মাঠে খুব শিশির পড়ছিল। তার উপর ম্যাক্সওয়েল এমন ব্যাটিং শুরু করলে কি বিপক্ষের কাছে বেশি কিছু করার থাকে?’’
বিশ্বকাপের আগে এটা শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ভারতের। যেখানে বেশ কয়েক জনকে দেখে নিয়েছে ভারতীয় দল। আগামী শনিবার হায়দরাবাদে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সেখানে দলকে আরও ধারাল করে তুলতে চান বিরাট। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বকাপের আগে প্রত্যেক দলই নিজেদের ভুল শুধরে নিতে চাইবে। ওয়ান ডে সিরিজে আমরাও নিজেদের প্রস্তুত করব। কিন্তু তার মধ্যেও প্রত্যেকটি ম্যাচ আমরা জিততে চেয়েছিলাম। প্রত্যেককে খেলার যথেষ্ট সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দেখে নিতে চেয়েছি কোন পরিস্থিতিতে কী ভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারে ওরা। আমাদের হাতে আরও কয়েকটি ম্যাচ রয়েছে যেখানে আরও পরীক্ষা করে নেওয়া যাবে।’’
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে যদিও সন্তুষ্ট ভারত অধিনায়ক। বলে গেলেন, ‘‘বেঙ্গালুরুর পিচ আবার স্বাভাবিক চরিত্রে ফিরেছে। টেকনিকের উপর আস্থা রেখে এখানে শট নেওয়া যায়। আজ সে রকমই হয়েছে। কিন্তু এ সব নিয়ে আর ভেবে কী হবে, আমরা তো হেরে গিয়েছি।’’
এদিকে, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কে এল রাহুল জানালেন, কর্ণ জোহরের চ্যাট শো ঘিরে বিতর্ক তাঁকে মানুষ হিসেবে বিনয়ী করেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘ওই সময়টা নিঃসন্দেহে খুব কঠিন ছিল। মানুষ হিসেবে বা খেলোয়াড় হিসেবে সকলকেই প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়। আমাকেও যেতে হয়েছে। নিজের খেলার প্রতি মনোযোগী হয়েছি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘ওই সময়ে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। ওঁর পরামর্শ মেনে ক্রিকেটে মন দিয়েছি। মানুষ হিসেবে বিনয়ী হয়েছি। ওই ঘটনা আমার কাছে শাপে বর হয়েছে।’’
রাহুল জানিয়েছেন, জাতীয় দল থেকে সাময়িক নির্বাসিত হওয়ার সময়ে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ খেলে নিজেকে পরিশীলিত করে তুলেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত ‘এ’ দলের হয়ে পাঁচটা ম্যাচ খেলেছি। উইকেটে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি।’’ আরও বলেছেন, ‘‘ভারতের হয়ে আবার খেলার সুযোগ পেয়েছি। সেটা আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy