প্রথম দু’দিনের পর একটা ব্যাপার নিশ্চিত হওয়া গেল। সিরিজের শেষ টেস্টটায় দু’টো ফল হতে পারে। ভারতের জয় এবং নিউজিল্যান্ডের ড্র। তার মধ্যে প্রথমটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাচটাকে কোনও ভাবে ড্র করতে গেলেও নিউজিল্যান্ডকে দুর্দান্ত খেলতে হবে। তার উপর এ রকম প্যাচপ্যাচে পরিবেশের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করে যাওয়ার কঠিন মানসিকতাটাও দেখাতে হবে ওদের। যা এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছ থেকে এখনও দেখা যায়নি।
রবিবারটা ব্ল্যাক ক্যাপদের জন্য একটা টাফ দিন গেল। দু’জন অত্যন্ত প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের সামনে পড়তে হল ওদের। প্রথম দিনের শেষে যেখানে খেলাটা শেষ করেছিল বিরাট আর রাহানে, সেখান থেকেই এ দিন ওরা শুরু করল। পিচে কোনও জুজু এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। শুধু খুব স্লো উইকেট। ব্যাটসম্যানকে এখানে প্রতিটা বলে ফোকাসটা ঠিক রাখতে হচ্ছে। এ রকম পিচে প্রতিটা বলে মনঃসংযোগ ঠিক রেখে ব্যাট করে যাওয়াটা মোটেই সহজ কাজ নয়। দুর্দান্ত স্কিল আর মানসিক কাঠিন্যের পরিচয় দিল বিরাট আর রাহানে। বড় রান করার সুযোগটা ওরা হারাতে চায়নি।
দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিটা করল বিরাট। রাহানে নিশ্চয়ই মনে মনে নিজেকে গালাগালি করছে এত কাছে এসেও ডাবল সেঞ্চুরিটা মিস করার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী ওকে শট খেলতে হয়েছে। ভারতীয় জুটি শুধু সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যাটিং স্কিলই দেখায়নি, বুঝিয়ে দিয়েছে ওদের ফিটনেস লেভেলও কতটা ভাল। অসম্ভব ভাল ফিটনেস না থাকলে এ ভাবে, এই পরিবেশে বড় ইনিংস খেলা যায় না।
নিউজিল্যান্ডের উপর পাঁচশো রানের বোঝা আছে। এই সফরে ওদেরকে এত বড় রানের চাপ আগে সামলাতে হয়নি। শেষ দুটো টেস্ট ম্যাচে আমরা দেখেছি তিনশো রানের টার্গেটের সামনেই ওরা ভেঙে পড়ছে, আর এ তো হল পাঁচশো প্লাস। তৃতীয় দিন থেকে ভারতীয় স্পিনাররা খুব সম্ভবত পিচ থেকে সাহায্য পাবে। ফলে নিউজিল্যান্ডের কাজটা ক্রমে কঠিন হয়ে উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy