ডেথ ডাইভিংয়ের এক প্রতিযোগী। ছবি: ইউটিউব থেকে নেওয়া।
নরওয়ের রাজধানী অসলোতে হয়ে গেল ‘ওয়ার্ল্ড ডেথ ডাইভিং চ্যাম্পিয়নশিপ’। এই খেলা সাধারণ ডাইভিংয়ের থেকে কিছুটা আলাদা। সাধারণ ডাইভিংয়ের থেকে এতে অনেকটাই বেশি সাহস লাগে। প্রথাগত ডাইভিংয়ের মতো শারীরিক কৌশল দেখানো নয়, এখানে ঝাঁপ দেওয়ার সময় জল স্পর্শ করার আগে পর্যন্ত নির্দিষ্ট একটি ভঙ্গিতে থাকতে হয়। তারপর প্রায় চিত্ হয়ে জল পড়েন প্রতিযোগীরা।
নরওয়ের পাঁচ বন্ধু, যাঁদের বয়স এখন প্রায় ৬০ বছর, ১৯৭২ সালে মজার ছলে এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। পরে সেই প্রতিযোগিতা আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। এখন নানা দেশ থেকে মানুষ এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেন।
এই খেলায় প্রায় ৩৩ ফুট উঁচু থেকে ঝাঁপ দিতে হয়। প্রথাগত ডাইভিংয়ে ক্ষেত্রে যেমন ঝাঁপ দেওয়ার পর থেকে নীচে পুলের জল স্পর্শ করা পর্যন্ত নানা শারীরিক কসরত দেখাতে হয়, এক্ষেত্রে বিষয়টা একদম উল্টো। এই ঝাঁপের ক্ষেত্রে ডাইভিং বোর্ড থেকে লাফিয়ে পড়ার সময় থেকে একই ভঙ্গিতে থাকতে হয়। পুলের জলে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে প্রতিযোগী তাঁর ভঙ্গি পরিবর্তন করলেও প্রায় চিত্ হয়ে জলে পড়েন। ৩৩ ফুট ওপর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় কেউ যদি চিত্ হয়ে জলের উপর পড়েন, তবে তাঁর আঘাত যথেষ্টই বেশি হবে। তাই এই ঝাঁপকে ডেথ ডাইভিং নাম দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্কুল পড়ুয়াদের রাস্তায় জিমন্যাস্টিকে মুগ্ধ নাদিয়া, কিরেণ রিজিজু
আরও পড়ুন : পা চাপড়ে স্ত্রীকে ডাকলেন ট্রাম্প, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষ!
এই বছর অগস্টের মাঝামাঝি অসলোর ফ্রগনারব্যাডেটে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সুইডেন, স্পেন, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের প্রায় ৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। মর্টেন ফ্যালটেঙ্গ, যিনি বন্ধুদের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন, তিনি নিজে এখনও অংশ নেন এই ডেথ ডাইভিংয়ে। তাঁর দাবি, এই ঝাঁপ দেওয়ার জন্য মনের জোর লাগে যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy