প্রতিবাদ: জাতীয় কুস্তি সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিনেশ, সাক্ষীদের অবস্থান চলছে। বুধবার যন্তরমন্তরে। ছবি: পিটিআই।
অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ব্রিজ ভূষণ শরন সিংহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমশ বাড়ছে। তাঁকে কেন্দ্র করে ভারতীয় কুস্তিগিরদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্ঘাত ক্রমশ তীব্র আকারধারণ করেছে।
বুধবার তা নিয়ে সুর আরও চড়া করেছেন সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের মতো তারকা কুস্তিগিররা। সাংবাদিক বৈঠকে ২০১৬ রিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী সাক্ষী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী স্যর বারবার করে বেটি বাঁচাও এবং বেটি পড়াও-র উপরে জোর দিয়ে থাকেন। উনি সকলের মনের কথা শোনেন। তিনি কি আমাদের মনের কথা শুনবেন?’’
সেখানেই না থেমে সাক্ষী আরও বলেন, ‘‘পদক জেতার পরে তিনি নিজের বাড়িতে আমাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। প্রত্যেককে সম্মান জানিয়ে নিজের মেয়ে বলে আমাদের পরিচয় দিয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাদের মনের কথাও শুনুন।’’ যদিও সাক্ষী তার সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘খুব সম্ভবত প্রধানমন্ত্রীর কানে এই খবর গিয়ে পৌঁছয়নি। আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাতে চাই।’’
তবে সেখানেই থেমে থাকেননি সাক্ষী। তিনি আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকেও। সাক্ষীর মন্তব্য, ‘‘আমি স্মৃতি ইরানিকে প্রশ্ন করতে চাই, তিনি এখন নীরব হয়ে রয়েছেন কেন?’’ যোগ করেন, ‘‘গত চার দিন ধরে আমরা রাস্তায় শুয়ে রয়েছি। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিল্লি পুলিশ আমাদের খাবার বা অনুশীলন করার অনুমতি পর্যন্ত দিচ্ছে না। আপনি এখনও নীরব কেন? আপনি একবার এখানে আসুন, আমাদের কথা শুনুন। আমাদের সমর্থন করুন।’’
সাক্ষীর সঙ্গে উপস্থিত আরও এক ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির বিনেশ ফোগট বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে সেই মানুষগুলির ফোন নম্বর নেই, যাঁদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের এই অবস্থার কথা জানাতে পারি। তাই সংবাদামাধ্যেমের মারফত আমরা তাঁর কাছে এই বার্তা পাঠাতে চাই।’’ বিনেশ যোগ করেন, ‘‘মনের দিক থেকে আমরা মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছি। আশা করি, আমাদের কান্না এ বার তাঁর কানে পৌঁছবে।’’
বিনেশ বলেন, ‘‘উনি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করেন। অথচ আমাদের মনের কথা শোনার মতো একটা মিনিটও কি তাঁর কাছে নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের আর কিছু নেই যে, দেশের মেয়েরা রাস্তায় বসে রয়েছে এবং একজন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য কুস্তি ছাড়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে!’’
প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী শুটার অভিনব বিন্দ্রা। তিনি টুইট করেন, ‘‘খেলোয়াড় হিসেবে আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। এটা অত্যন্ত দুঃখের যে, জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রশাসকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে রয়েছেন। আমি এদের সঙ্গেই রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy