বিনেশ ফোগাট। — ফাইল চিত্র।
ভারতের কুস্তিতে সংকট কাটছেই না। বিনেশ ফোগাট আন্তর্জাতিক আদালতে হেরে যাওয়ায় এমনিতেই কুস্তিগিরেরা হতাশ। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশে বিপদে পড়তে চলেছেন কুস্তিগিরেরা। আবার তাঁরা নির্বাসিত হতে পারেন। একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় কুস্তির দেখাশোনার দায়িত্ব অ্যাড-হক কমিটির হাতে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। কুস্তি সংস্থা পাল্টা আবেদনের কথাও জানিয়েছে।
গত বছরের শুরুতে ব্রিজভূষণ সিংহের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন বজরং পুনিয়া, বিনেশ, সাক্ষী মালিকের মতো কুস্তিগিরেরা। রাজধানীর বুকে তাঁদের সেই আন্দোলন গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছিল। ভারতের অলিম্পিক্স সংস্থা (আইওএ) অ্যাড-হক কমিটির হাতে কুস্তি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। তারপরেই ভারতের কুস্তি সংস্থাকে নির্বাসিত করে আন্তর্জাতিক কুস্তি সংস্থা (ইউডব্লিউডব্লিউ)। কারণ তারা কখনওই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না। বছরের শেষ দিকে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসেন ব্রিজভূষণ-ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ। আন্তর্জাতিক সংস্থাও নির্বাসন তুলে নেয়। ফলে ভারতীয় কুস্তিগিরেরা দেশের পতাকায় অলিম্পিক্সে খেলার সুযোগ পান।
এখন অ্যাড-হক কমিটির হাতে ক্ষমতা দেওয়ার অর্থ, আবার তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ। ফলে ভারতীয় কুস্তি সংস্থাকে আবার নির্বাসিত করা হতে পারে। গত ৪ এপ্রিল অ্যাড-হক কমিটি তুলে দিয়েছিল আইওএ। হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ, প্রয়োজনে আবার তা গঠন করে কুস্তি সংস্থা দেখাশোনার ভার দেওয়া যেতে পারে।
সংবাদ সংস্থাকে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি সঞ্জয় বলেছেন, “আমরা বিষয়টা নিয়ে ডাবল বেঞ্চে যাব। আইওএ আগেই অ্যাড-হক প্যানেল তুলে দিয়েছিল। পাশাপাশি আমরা ইউডব্লিউডব্লিউ এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটিকেও (আইওসি) যাতে ওরা আমাদের নির্বাসিত না করে। সামনেই দুটো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আসছে। ভারতীয় কুস্তিগিরদের অংশগ্রহণ বাতিল হয়ে যেতে পারে।”
ইউডব্লিউডব্লিউ আবার নির্বাসিত করলে কুস্তিগিরেরা আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে খেলতে পারবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy