আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন উসাইন বোল্ট। বিশ্বের দ্রুততম মানবের প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ ডলার বা ১০৪ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে। এর নেপথ্যে জামাইকার সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর আইনজীবী লিন্টন গর্ডন। তাঁর দাবি, সংগঠিত ভাবে প্রতারণা করা হয়েছে।
জামাইকার স্টক এবং সিকিউরিটিজ় লিমিটেডে (এসএসএল) গত ১৩ বছর ধরে বিনিয়োগ করেছেন বোল্ট। ২০১২ সালে পর্যায়ক্রমে ১২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কখনওই সেই অর্থ তোলেননি। অর্থ জমা দেওয়ার রসিদও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে একদিন কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখতে পান, সব অর্থ উধাও হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি বোল্ট একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। বোল্ট জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাননি বলেই প্রকাশ্যে আনেননি। তবে ভবিষ্যতে জামাইকায় আর বিনিয়োগ করবেন না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বোল্টের আইনজীবী বলেছেন, “সংগঠিত ভাবে গোটা বিষয়টায় উসাইন বোল্টকে অভিযুক্ত করা চলছে। তিনি যে দেশকে ভালবাসেন, সেই দেশের জন্য বিনিয়োগ করা ছাড়া আর কোনও অপরাধ করেননি। বইয়ের পাতা উল্টে চিত্রনাট্য মেনে বোল্টকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা চলছে। সরকার নিজেদের দোষ ঢাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।”
আরও পড়ুন:
শোনা গিয়েছে, কিংস্টনের একটি সংস্থা এই দুর্নীতির মাথা। তাদের শীর্ষকর্তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে বোল্টের অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। অথচ ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরেই এসএসএল-এর তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে বোল্টকে ৩ কোটি ডলার ফেরত দেওয়া হবে। এখন দেখা গিয়েছে, কোনও অর্থই আর পড়ে নেই।