সোনার-মেয়ে: পদক নিয়ে আভা এবং রাখি (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলার মেয়েদের শুক্রবার ছিল সোনার দিন। কাঠমান্ডুতে এ দিন সোনা জিতলেন দুই বঙ্গ কন্যা। দেশের হয়ে মেয়েদের শটপাটে নেমে মেদিনীপুরের মেয়ে আভা খাটুয়া চ্যাম্পিয়ন হলেন ১৫.৩২ মিটার ছুঁড়ে। অন্তর্জাতিক মঞ্চে এটা তাঁর প্রথম সাফল্য। অন্য দিকে ভারোত্তোলনে ৬৪ কেজি বিভাগে সেরা হলেন নদিয়ার দক্ষিণ বিষ্ণুপুরের মেয়ে রাখি হালদার। তিনি সব মিলিয়ে তুললেন দু’শো কেজি। আভা এবং রাখির সোনায় নেপালে উজ্জ্বল হল ভারতের মুখ।
আভা এবং রাখি ছাড়াও অ্যাথলেটিক্সে আরও তিনটি পদক জিতলেন বাংলার মেয়েরা। ডিসকাস থ্রো-তে সুরভী বিশ্বাস রুপো জিতলেন। ৪৭.৩১ মিটার ছুড়ে। ১৬০০ মিটার রিলেতে রুপো পেল ভারত। সেই দলে ছিলেন হিমশ্রী রায়। মেয়েদের ট্রিপল জাম্পে ব্রোঞ্জ পেলেন ভৈরবী রায়। তিনি লাফালেন ১২.৭৭।
২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সুযোগ পাওয়ার জন্য পাতিয়ালার শিবিরে পড়ে রয়েছেন রাখি। যোগ্যতা পাওয়ার জন্য যা করার দরকার, তা অনেকটাই করে ফেলেছেন। দিন-রাত মিলিয়ে আট ঘণ্টা অনুশীলন করছেন তিনি। দু’জন মেয়ে ভারোত্তোলক এ বার যেতে পারবেন অলিম্পিক্সে। মীরাবাঈ চানুর যাওয়া নিশ্চিত। দ্বিতীয় স্থানটির জন্য লড়ছেন বাংলার এই লড়াকু ভারোত্তোলক। কিন্তু মাঝে পিঠের ব্যথার জন্য সমস্যা পড়েছিলেন তিনি। কাঠমান্ডুর সোনা তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করছেন রাখি। শুক্রবার নেপাল থেকে ফোনে বললেন, ‘‘শিবিরে যা ওজন তুলেছি, সেটা তুলতে পারলেই সোনা পাব জানতাম। ক্লিন ও জার্ক মিলিয়ে ২০০ কেজি তুলেছি। কিন্তু আমার লক্ষ্য তো টোকিয়ো অলিম্পিক্স। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই সোনা আমাকে স্বস্তি দিল। এরপর আবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আরও ভাল করার প্রস্তুতি নেব।’’
অন্য দিকে শটপাটে সোনা জেতার পর দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আভা উচ্ছ্বসিত। রাজ্য মিট থেকেই তাঁর সাফল্যের দৌড় চলছে। তিনি বলছিলেন, ‘‘এটা আমার ভারতের হয়ে নেমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম পদক। এবং সেটা সোনা দিয়ে শুরু হল। ভাল লাগছে। তবে আমি তৃপ্ত নই। আমার লক্ষ্য এশিয়াড ও অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা।’’ এই মঞ্চে সোনা পাবেন, এমন আশা কি করেছিলেন? আভার মন্তব্য, ‘‘একটা পদক জিততেই হবে, এই জেদটা আমার মনের মধ্যে ছিলই। মাঠে আশার আগেই কারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে তা জেনে এসেছিলাম। সেটা দেখেই ছুড়েছি। সোনা পাব ভাবিনি।’’ ভাল পারফরম্যান্স করলেও কলকাতার থাকার জায়গা ছিল না আভার। যুব আবাসের ডর্মেটরিতে শুয়ে স্বপ্ন দেখতেন গ্রামের মেয়ে আন্তর্জাতিক পদক পাবেন। তার সেই চেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy