চলতি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে স্বমহিমায় পি ভি সিন্ধু। ছবি - টুইটার
বরাবরের মতো এ বার টোকিয়ো অলিপিক্সের আসর জমাতে বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন একাধিক মহিলা অ্যাথলিট। তাঁদের দেশের সংস্কৃতি অনুসারে পোশাকেও রয়েছে বৈচিত্র। তবে বেশ কিছু দেশের মহিলা ক্রীড়াবিদদের এখনও তাঁদের দেশের নিয়ম মেনে পোশাক পড়তে হচ্ছে। সেই পোষাক গায়ে চাপিয়ে খেলতে অসুবিধা হলেও মানিয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এই বিষয়টা অবশ্য পি ভি সিন্ধুর নজর এড়ায়নি। তাই তো তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন।
বুধবার হংকঙের চিউং ই-কে ২১-৯, ২১-১৬ ব্যবধানে হারিয়ে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলেন সিন্ধু। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিশেষ পোশাক গায়ে চাপিয়ে খেলার ব্যাপারে আমাদের দেশে কোনও ছুৎমার্গ নেই। ফলে খোলা মনে পারফরম্যান্স করতে পারছি। তাই নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি।”
এ দিন যেমন প্রায় ৩০টি দেশের মহিলা অ্যাথলিটকে ব্যাডমিন্টনের কোর্টে দেখা গেল। তাঁদের মধ্যে আলাদা ভাবে নজর কাড়লেন ইরানের সোরায়া আগহেই হাজিগা। তিনি চিনের হি বিং জিওয়াওয়ের বিরুদ্ধে খেলার সময় হিজাব পড়ে ছিলেন।
জার্মানির মহিলা জিমন্যাসটিক্স দলের পোশাক আবার সবার থেকে আলাদা। ওঁদের গোটা শরীর পুরু আচ্ছাদনের পোশাকে ঢাকা। সেই পোশাক গায়ে চাপিয়ে ভল্ট দিতে অসুবিধা হলেও ওঁরা মানিয়ে নিয়েছেন।
নরওয়ে মহিলা বিচ হ্যান্ডবল দলের তো কয়েক দিন আগে আর্থিক জরিমানা পর্যন্ত হয়েছিল। সেই দেশের ক্রীড়া সংস্থা প্রায় ১৫০০ ইউরো জরিমানা করে। মহিলাদের অপরাধ ছিল তাঁদের দলের সবাই যে পোশাক গায়ে চাপিয়েছিলেন সেটা নাকি নির্ধারিত নিয়ম থেকে ১০ সেন্টি মিটার কম!
সিন্ধু শেষে বলছেন, “সব দেশের সংস্কৃতি আলাদা। সেই হিসেবে সবাই তাঁদের পোশাকে দেশকে তুলে ধরবে। এতে ভুলের কিছু নেই। তবে খেলাধুলার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের একটু ছাড় দেওয়া উচিত। কারণ দিনের শেষে তো তারা দেশের হয়ে বিশ্ব মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy