—নিজস্ব চিত্র
জাতীয় স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে ফিরলেন বাংলার তিন কন্যা। ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের ডেভেলপমেন্ট এরিয়ার তাসি নামগিয়াল উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতার আসর বসে। সেখানে পদক জিতলেন বাংলার পারমিতা দত্ত রায়, জাহ্নবী বিশ্বাস এবং প্রিয়ঙ্কা মুর্মু। তাঁদের সঙ্গে ছিল পুরুলিয়ার আট বছরের অভিরূপ গড়াই।
এই বছরে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছেন পারমিতা ও প্রিয়ঙ্কা। রুপো জেতেন জাহ্নবী। আগামী বছর রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন এই তিন জন। প্রথম বার জাতীয় স্তরের খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েই তিন জন সোনা জিতে নেন। কাতা প্রতিযোগিতায় প্রিয়ঙ্কা সোনা জেতেন, জাহ্নবী রুপো এবং পারমিতা ব্রোঞ্জ। এ ছাড়াও কুমিতে অর্থাৎ ফাইট করে তিনজনেই সোনা জিতে নেন। পাশাপাশি ওপেন কাতা প্রতিযোগিতায় প্রিয়ঙ্কা রুপো এবং পারমিতা ও জাহ্নবী ব্রোঞ্জ পদক পায়।
রাশিয়ায় হতে চলা আগামী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ছাড়পত্র তুলে দেওয়া হয় তিনজনের হাতে। তিন স্বর্ণ কন্যার প্রশিক্ষক কৌশভ সান্যাল বলেন, “পারমিতা যখন ক্যারাটে শিখতে শুরু করে, তখন ওর মেয়ের বয়স ছয় মাস। কিন্তু, ওর খেলার অদম্য ইচ্ছা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়েছে।”
হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা জাহ্নবীর লড়াইটাও ছিল একই রকম। আট বছরের কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই ক্যারাটের জগতে পা রাখেন তিনি। মাত্র দেড় বছরের মধ্যেই রপ্ত করে নেন ক্যারাটের দাও প্যাঁচ। ক্যারাটের রিং-এর ভিতরের লড়াইয়ে সাবলীল হয়ে ওঠেন পারমিতা ও জাহ্নবী।
বোলপুরের হাটতলার বাসিন্দা বি টেকের ছাত্রী প্রিয়ঙ্কা মুর্মুকেও বাহবা দিচ্ছেন স্থানীয় মানুষ। খেলাধুলার সঙ্গে পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছেন সমান তালে। তিনজনের স্বপ্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে সোনা জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy