বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেন বিরাট কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে নিজের মুখেই এ কথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি। সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, বিশ্বকাপ ফাইনালই তাঁর শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। এ বার পরের প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতে চান।
শনিবারের ম্যাচে ধৈর্য রেখে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ওই ইনিংস ভারতকে বড় স্কোরে দাঁড় করিয়ে দেয়। কোহলি ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলেন, “এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়।”
তখনও কোহলি পরিষ্কার করে ইঙ্গিত দেননি যে তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন। সঞ্চালক ভোগলে আবার সেই প্রশ্ন করেন। কোহলি বলেন, “এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে দলে। ওরাই দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।”
টি-টোয়েন্টিতে ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। ৪৮.৬৯ গড়ে ৪১৮৮ রান করেছেন। একটি শতরান করেছেন। সেটি এসেছিল গত বছর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কোহলির ৩৮টি অর্ধশতরান রয়েছে। হারারে-তে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ঘটনাচক্রে, কোহলির অবসরের পর আবার বিশ্বকাপ সফরে যাবে ভারত। সেই সফরে নির্বাচিত করা হয়েছে তরুণ প্রজন্মকেই। যেমন ভাবে নেওয়া হয়েছিল কোহলিকে।
২০০৭ সালে ভারত প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। ১৭ বছর পর আবার জিতল। মাঝের এই সময়টায় কী কষ্ট করতে হয়েছে সেটা উঠে এসেছে কোহলির কথায়। বলেছেন, “এত বছর ধরে একটা বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা অপেক্ষা করেছি। রোহিতের মতো ক্রিকেটারের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ৯টা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে। আমার সেখানে ছ’টা। রোহিত এই ট্রফির যোগ্য। এই মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা আমার কাছে কঠিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy