Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘রোটেশন’ বিতর্ক উস্কে দিলেন ব্রড

ব্রড এটা মেনে নিয়েছেন, ইংল্যান্ডের যে সব ক্রিকেটার তিন ধরনের ক্রিকেটই খেলেন, তাঁদের পরিশ্রমের মাত্রার উপরে সতর্ক দৃষ্টি রাখাই ভাল।

প্রতিবাদ: রোটেশন পদ্ধতিতে বিশ্বাসী নন ব্রড। ফাইল চিত্র

প্রতিবাদ: রোটেশন পদ্ধতিতে বিশ্বাসী নন ব্রড। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২১ ০৮:০৭
Share: Save:

গত বছর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়ার নীতি নিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে অনেক ম্যাচে খারাপ ফলও হয়েছে। ইসিবির এই নীতির সমালোচনাও করেছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার। কিন্তু এই প্রথম মুখ খুললেন কোনও বর্তমান ক্রিকেটার। তিনি স্টুয়ার্ট ব্রড। ইসিবিকে সতর্ক করে ব্রডের ইঙ্গিত, অযোগ্যরাও এখন টেস্ট খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছে।

তবে ব্রড এটা মেনে নিয়েছেন, ইংল্যান্ডের যে সব ক্রিকেটার তিন ধরনের ক্রিকেটই খেলেন, তাঁদের পরিশ্রমের মাত্রার উপরে সতর্ক দৃষ্টি রাখাই ভাল। যেমন জফ্রা আর্চার। কনুইয়ের চোটের জন্য বেশ কিছু দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন ইংল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার। কয়েক দিন আগে কাউন্টিতে খেলতে নামলেও চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন নিউজ়িল্যান্ড সিরিজ থেকে। ব্রড চান, প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই মাঠে ফিরুন জফ্রা। ব্রডের কথায়, ‘‘নিউজ়িল্যান্ড আর ভারত সিরিজ আমাদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি হলে চাইতাম, জফ্রা যেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ওভারটা করতে পারে।’’

ইংল্যান্ডের প্রাক্তন নির্বাচক এড স্মিথের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না বর্ষীয়ান পেসার ব্রডের। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট (৫১৭) পাওয়া ব্রড মনে করেন, স্মিথ তাঁকে খুব একটা পছন্দ করতেন না। স্মিথের পদটাই অবশ্য এখন সরিয়ে দিয়েছে ইসিবি। তার বদলে দলের কোচ ক্রিস সিলভারউডকেই সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দল বেছে নেওয়ার।

জিমি অ্যান্ডারসন আর ব্রডকে অনেকেই বলে থাকেন, ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সেরা পেস-জুটি। দু’জনে এখন শুধু টেস্টই খেলে থাকেন। কিন্তু গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সুযোগ দেওয়া হয়নি ব্রডকে। যার পরে এই পেসার নিজের ক্ষোভ গোপন করেননি। বলেছিলেন, ‘‘ভীষণ হতাশ লাগছে, রাগ হচ্ছে।’’ এর পরে ফিরে এসে ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্টে ২৯টি উইকেট তুলে সফলতম বোলারের আসন দখল করেন তিনি।

মঙ্গলবার এড স্মিথ সম্পর্কে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ব্রড বলেছেন, ‘‘অনেকেরই এমন অনেক বস্‌ থাকে, যারা ঠিক মূল্যায়নটা করতে পারে না। আমার সঙ্গে সে ব্যাপারটাই ঘটেছিল।’’ ইংল্যান্ডের ‘রোটেশন নীতি’ নিয়ে ব্রডের মন্তব্য, ‘‘একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। টেস্টে সুযোগ পাওয়াটা যেন খুব সহজলভ্য ব্যাপার না হয়ে যায়। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার জন্য আমরা অনেক পরিশ্রম করেছিলাম।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy