বিরক্ত: বল বিকৃতি কাণ্ডে খুশি নন অ্যামব্রোজ। ফাইল চিত্র
বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়ানোর জন্য দু’বছরের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারের। অস্ট্রেলিয়ার দুই খেলোয়াড় যেন ‘খুন করে পার পেয়ে গেল’। মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন পেসার কার্টলে অ্যামব্রোজ।
গত বছর মার্চ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় তৃতীয় টেস্টে বল বিকৃতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক স্মিথ এবং প্রাক্তন সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নারের নাম। শাস্তি হিসেবে তাঁদের এক বছর নির্বাসিত করেছিল অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড। দুই ক্রিকেটারই ২৯ মার্চ শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন এবং চেষ্টা করছেন আসন্ন বিশ্বকাপ এবং অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরতে। তবে অ্যামব্রোজ মনে করেন তাঁদের নির্বাসন আরও এক বছর বাড়ানো উচিত ছিল।
‘‘এ রকম নিয়ম ভাঙলে শাস্তি পেতেই হবে। আমি তো মনে হচ্ছে যেন ওরা খুন করে পার পেয়ে গেল। এক বছরের শাস্তি কিছুটা যেন কম হয়ে গেল। আমি তো বলব, দু’বছর নির্বাসিত করে এমন বোকামির জন্য একটা বার্তা পাঠানো উচিত ছিল,’’ বললেন টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০-র বেশি উইকেট শিকারি ১৫ জন বোলারের অন্যতম অ্যামব্রোজ।
তবে ৫৫ বছর বয়সি অ্যামব্রোজ স্টিভ ও ওয়ার্নারের কড়া শাস্তি চাইলেও আশা করছেন দু’জন বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেবেন। ‘‘আমার বিশ্বাস ওরা এ রকম কাজ আর কখনও করবে না। আশা করি অস্ট্রেলিয়া এখন ওদের পাশে দাঁড়াবে এবং ওরা বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেবে। কারণ ওরা দলে এলে অস্ট্রেলিয়া আরও শক্তিশালী হবে,’’ বলেন তিনি। স্মিথ এবং ওয়ার্নার ছাড়াও এই কাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছিল ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টের নামও। যে জন্য তাঁর নয় মাসের নির্বাসনের শাস্তি হয়েছিল। এ দিন আবার ব্যানক্রফট জানিয়েছেন, দুই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার যখন বল বিকৃতির জন্য এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কড়া শাস্তি কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঠিক তখনই অ্যামব্রোজের এই মন্তব্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। ‘‘পেশাদার খেলোয়াড়রা যা ভালবাসে সেটা করতে গিয়ে তাদের এ ভাবে বঞ্চিত করা যায় না,’’ বলেন অ্যামব্রোজ।
তিনি যে স্মিথদের এই ঘটনায় খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি বোলার। ‘‘আমি খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে অতীতে আমারও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু এ রকম কিছু কখনও দেখিনি। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না ঘটনাটা প্রথমে। বিশেষ করে এই সময়ে,’’ বলেন অ্যামব্রোজ। এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, ‘‘৩০ বছর আগে হয়তো এ রকম কোনও ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যাওয়া যেত। যদিও এটা খুবই অন্যায়। কিন্তু এখনকার যুগে এত ক্যামেরা থাকে আশপাশে। মাঠের সব কিছুই তো রেকর্ড হয়ে যায়।’’ টিভি ক্যামেরাতেই ধরা পড়েঠিল অস্ট্রেলিয়ার কুকীর্তি। অ্যামব্রোজ বলছেন, ‘‘আমি তো বুঝতেই পারছি না ওরা এমন কিছু করার চেষ্টাই বা করতে গেল কেন। সত্যিই খুব দুঃখের।’’ কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান বোলার মনে করেন বল বিকৃতির এই ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে একটা কালো দিন। ‘‘কারণ, অস্ট্রেলীয়রা এ রকম হয় না। ওরা খুব লড়াকু। নিয়মের মধ্যে থেকেও ওরা লড়তে ভালবাসে,’’ বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy