কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি হল ক্রীড়া খাতে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ খাতে ৩৫১.৯৮ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শুধু ‘খেলো ইন্ডিয়া’র জন্যই ২০০ কোটি টাকা বেশি ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে বাজেট বক্তৃতায়।
ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ খাতে মোট ৩৭৯৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন সীতারামন। আগামী অর্থবর্ষে দেশে খেলার কোনও বড় মাপের আয়োজন নেই। তবু খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশনের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দ ছিল ৩৪০ কোটি টাকা। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সাইয়ের জন্য ৮৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যা আগের বাজেটে ছিল ৮১৫ কোটি। এই টাকা খরচ করা হবে বিভিন্ন খেলার জাতীয় শিবির, খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণের জন্য। ন্যাশনাল ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরির জন্য ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ছিল ১৮.৭০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডার জন্য ২৪.৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন সীতারামন। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২০.৩০ কোটি টাকা পেয়েছে নাডা। ন্যাশনাল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের জন্য আগের অর্থবর্ষের মতোই ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়দের উৎসাহ ভাতা বাবদ ৪২.৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে এ বারের বাজেটে। গত বার ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল এই খাতে।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নতুন খেলোয়াড় তৈরির উপরেও। যুব কল্যাণ প্রকল্পগুলির জন্য এ বার ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যা আগের বাজেটে ছিল ১১.৭০ কোটি। জম্মু-কাশ্মীরের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন সীতারামন। চলতি অর্থবর্ষে এই খাতে ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ ছাড়া ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। আগের বারের থেকে ২০০ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।