মার্কো রোসের মন্ত্র একটাই। বলটা যেন প্রতিপক্ষের পায়ে খুব কম থাকে। তা হলেই হতাশ হয়ে পড়বে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি।
রোসে জার্মানির ক্লাব মনশেনগ্ল্যাডবাখের ম্যানেজার। যাদের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আজ, বুধবার খেলবে টানা ১৮ ম্যাচে জয়ী পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যান সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের কথায়, পেপের জন্যই এতিহাদের ক্লাবে সবার মধ্যে জয়ের খিদে এত তীব্র। ‘‘ওঁর (গুয়ার্দিওলার) কাছ থেকে সব চেয়ে ভাল শিখেছি একটা জিনিস। সেটা কখনও কোনও কিছুতে সন্তষ্ট না হওয়া। মনে হয় আমাদের এতটা উন্নতির এটাই আসল কারণ।’’
বলেছেন স্টার্লিং।
জার্মানির কোনও ক্লাব এখন নিজেদের মাঠে ম্যাচ করতে পারছে না। করোনার জন্য সে দেশে বিদেশি দল যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ম্যান সিটি বনাম মনশেনগ্ল্যাডবাখের লড়াই হবে বুদাপেস্টে। যে ম্যাচের আগে স্টার্লিংকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ভাল করেই জানি এটা অনেক লম্বা মরসুম। তাই মনঃসংযোগ একটা বিরাট ব্যাপার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও সেটা জরুরি। এটাও জানি, ভাগ্য আমাদের নিজেদের হাতেই রয়েছে। আমরা ঠিকঠাক খেলতে পারলে সাফল্য আসবে। ভুল করলে ঠিক উল্টোটা হবে।’’
গুয়ার্দিওলা কিন্তু মনশেনগ্ল্যাডবাখকে দারুণ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলছি। এখানে কোনও দলকে ছোট করে দেখা যায় না। তা ছাড়া জার্মানির ক্লাবগুলো সবসময় ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে, মনশেনগ্ল্যাডবাখ। ওরা ছোট ছোট পাসে খেলে। পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত নিজেদের খেলার ধরনও পাল্টে ফেলতে পারে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ঠিক কী করতে চাই সেটা মাথায় রেখে খেলতে হবে। সব চেয়ে বড় ব্যাপার, কোনও ভুল করলে চালবে না। আমি জানি ওদের মাঝমাঠ খুব ভাল। দেখতে হবে ওরা যেন সুযোগ তৈরি করতে
না পারে।’’
প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিরুদ্ধে কেভিন দ্য ব্রুইনকে এক ঘণ্টা মাঠে রেখে তুলে নেন গুয়ার্দিওলা। শেষ তিন ম্যাচে রিজার্ভ বেঞ্চেই ছিলেন সের্খিয়ো আগুয়েরো। দু’জনই সোমবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। সম্ভবত দু’জনই মনশেনগ্ল্যাডবাখের বিরুদ্ধে ম্যান সিটির প্রথম দলে থাকবেন। এমনিতে প্রিমিয়ার লিগে খুব ভাল জায়গায় আছে ম্যান সিটি। পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় ম্যান ইউয়ের থেকে তারা ১০ পয়েন্ট এগিয়ে। গুয়ার্দিওলা মনে করেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লড়াইটা সবসময় অন্যরকম। এ বারও গ্রুপ লিগ থেকে সেটা স্পষ্ট ছিল। ম্যান সিটি ম্যানেজার সেই পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হতে চান। ‘‘ম্যান সিটির কাছে এই একটা ট্রফিই নেই। এটা সবসময় মাথায় থাকে,’’ বলেছেন পেপ।
এ দিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে ইটালির আটলান্টা ও রিয়াল মাদ্রিদ। চোট থাকায় এই ম্যাচে ১৯ জনের দলে রিয়াল ম্যানেজার জ়িনেদিন জিদান রাখেননি করিম বেঞ্জেমাকে। অবশ্য শুধু বেঞ্জেমা নন, স্পেনের ক্লাব পাচ্ছে না সের্খিয়ো র্যামোস, এডেন অ্যাজ়ারদেরও। জ়িদান বাধ্য হয়েই তাই ‘বি’ দলেরও বেশ কয়েক জনকে নিয়ে যাচ্ছেন ইটালিতে।
দলে চোট আঘাতের সমস্যা থাকলেও জিদান বলেছেন, ‘‘মানছি, করিম বেঞ্জেমার ছিটকে যাওয়াটা আমাদের কাছে বড় একটা ধাক্কা। কিন্তু এত বড় মরসুমে আহতদের জন্য একটা দলে অসুবিধে থাকবেই। অনেকে দলের বাইরে চলে যাবে। অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। সব দলেই এই সমস্যাটা কমবেশি আছে। তার মধ্যেও বড় ব্যাপার হচ্ছে ধারাবাহিকতা। আশা করি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে ছেলেরা শেষ কয়েকটা ম্যাচের ছন্দ
ধরে রাখতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy