ফের অসুস্থ সৌরভ। —ফাইল চিত্র।
ফের অসুস্থ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। বুধবার দুপুরে ব্যথা বাড়লে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বাংলায় বিজপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ফোন করে সৌরভের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন অমিত শাহ।
এ দিন গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সৌরভকে। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন তিনি। সেখানে চিকিৎসক আফতাব খান, সপ্তর্ষি বসু এবং সরোজ মণ্ডলের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ক্যাথ ল্যাবে ইতিমধ্যেই ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে সৌরভের। তাঁর ইকো কার্ডিয়োগ্রাম এবং ইসিজি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম হবে। তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। বুধবার চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই থাকবেন তিনি।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি শরীরচর্চা করার সময় আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে যান সৌরভ। বুকে যন্ত্রণা অনুভব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। সেইসময় প্রায় এক সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। তাঁর বুকে একটি স্টেন্ট বসানো হয়। আরও দু’টি স্টেন্ট বসানোর কথা রয়েছে। তার পর ৭ জানুয়ারি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান সৌরভ। সেই সময় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জীবন ফিরে পেলাম।’’ তার পর দিন কুড়ি কাটতে না কাটতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন মহারাজ।
সেই সময় ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ রয়েছে সৌরভের। প্রথমে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর। তার পর ধমনীর ‘ব্লকেজ’ সরাতে বসানো হয় স্টেন্ট।
ঠিক কী কারণে সৌরভ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে আসে সেই সময়। জানা যায়, বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই হলেও, বিগত ৫ বছরে কোনও ডাক্তারি পরীক্ষাই করাননি সৌরভ। তার উপর মারাত্মক কাজের চাপ। দুইয়ে মিলেই ধকল সইতে পারেনি তাঁর শরীর। তবে রাজনৈতিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমন দাবিও উঠে আসে। সিপিএম নেতা এবং শিলিগুড়ির পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য হাসপাতালে সৌরভকে দেখে এসে বলেন, ‘‘নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে একটি রাজনৈতিক দল সৌরভের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল।’’ তবে এ নিয়ে সৌরভ নিজে বা গঙ্গোপাধ্যায় পরিাবারের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy