বিধানসভার গেটে উঠে পড়েছেন বেশ কয়েক জন শিক্ষিকা। —নিজস্ব চিত্র
শিক্ষিকাদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড রাজ্য বিধানসভা ভবন চত্বরে। গেটের বাইরে জমায়েত হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শিক্ষিকারা। পুলিশের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এই তাঁরা বিধানসভা চত্বরের ভিতরে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, এর পিছনে রাজনৈতিক মদত রয়েছে।
বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। তার আগেই বিধানসভার গেটের বাইরে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’-এর সদস্যরা। সমকাজে সমান বেতন-সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও তাতে কর্ণপাত করছে না সরকার। বিধানসভার ৬ নম্বর গেটের বাইরে বিক্ষোভ-স্লোগানের পাশাপাশি গেটের উপরে উঠে পড়েন কয়েক জন শিক্ষিকা। দীর্ঘক্ষণ গেটের উপরেই দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। নীচেও চলতে থাকে বিক্ষোভ-আন্দোলন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গেটের উপরে উঠে পড়া দুই মহিলাকে নামেতে বেগ পেতে হয় পুলিশকর্মীদের। প্রথম দিকে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ না থাকায় বিক্ষোভকারীদের হঠাতে বলপ্রয়োগও করতে পারেনি পুলিশ। পরে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ এনে শিক্ষিকাদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়।
তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বিরোধীদের দিকে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর আগে বিধানসভায় ঢুকে জ্যোতি বসুকে তাড়া করা হয়েছিল। তিনি অন্য গেট দিয়ে পালিয়েছিলেন। তবে আমি বলব, বিধানসভায় সর্বদল থাকে। সেখানে কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে?’’
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকে ঘোষণা করে এই কর্মসূচি করেছেন শিক্ষিকারা। তা ছাড়া বিধানসভা চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা থাকে। সে সব এড়িয়ে কী ভাবে বিধানসভার গেটে উঠে পড়লেন বিক্ষোভ-আন্দোলনে শামিল শিক্ষিকারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy